এস এম শামীম হাসান মহাদেবপুর প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে আওয়ামী লীগ অফিসের পাশে তিনটি ককটেলের বিষ্ফোরণের পর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ছয় নেতার নামসহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর এরশাদ আলী (৩৭) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) মহাদেবপুর থানায় দায়ের করা মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাওসার আলী অভিযোগ করেন যে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে এমপির ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাকলাইন মাহমুদ রকি, এমপির ভাগ্নে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদাক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিলসহ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মী উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পাশের ফাঁকা স্থানে বসে থাকার সময় ৩/৪টি মোটরসাইকেলযোগে একদল দুষ্কৃতকারি সেখানে এসে পরপর ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে নেতাকর্মী ও পথচারিরা আতংকিত হয়ে দিকবিদিক ছুটোছুটি শুরু করেন। তারা দুষ্কৃতকারিদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায়। মামলায় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা সদরের মৃত ডা: তমিজ উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (৪৫), উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সদর ইউনিয়নের নাটশাল গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪৫), সদস্য চেরাগপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে চঞ্চল রহমান (৩৫), উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কুড়মইল গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে শাকিল আহমেদ (৩৩), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য এরশাদ আলী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এনায়েতপুর ইউনিয়নের বুজরকান্তপুর গ্রামের বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলামের ছেলে এফআই সবুজের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করা হয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সামিনুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর ভোরে এরশাদ আলীকে তার বাড়ি থেকে আটক করে দুপুরে নওগাঁ কোর্টে চালান দেয়া হয়। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে দেয়া বক্তব্যে, সাকলাইন মাহমুদ রকি, সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল, কাওসার আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ প্রমুখ বলেন, বিএনপি জামাত জোট তাদেরকে উদ্দেশ্য করে এই ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করা প্রয়োজন বলেও তারা উল্লেখ করেন। স্থানীয়রা জানান, তিনটি ককটেল একটি বৈদ্যুতিক খুটিতে লেগে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কেউ আহত হননি। ঘটনার পরপরই উপজেলা সদরের ব্যস্ত এলাকা বাসস্ট্যান্ড মাছের মোড়, বকের মোড়, পোষ্ট অফিস মোড়সহ বিভিন্ন স্থান জনশুণ্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনেকেই গা ঢাকা দেন। থানা পুলিশ রাতে আসামীদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে হানা দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।