সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মহাদেবপুরে ‘সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে’র আওতায় সরকারি নানা সুবিধা পেয়ে এখন দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন আদিবাসীরা। প্রকল্পের আওতায় গৃহপালিত পশুপাখি পেয়ে সেগুলো লালন পালন করছেন মমতায়। এ থেকেই একদিন আসবে পুরো পরিবারের স্বচ্ছলতা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেক জানান, প্রকল্পের আওতায় জরিপে এই উপজেলার মোট তিন হাজার আটশ’ ৮৬ ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবার চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে তিন হাজার একশ’ ১০টি পরিবারকে প্রকল্পের সুবিধাভোগী হিসেবে নির্ধারন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এক হাজার নয়শ’ ৫টি পরিবারের মধ্যে গৃহপালিত পশুপাখিসহ নানা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৮১ পরিবারের মধ্যে একটি করে বোকনা বাছুর, বাছুর রাখার ঘর তৈরির উপকরণ, দানাদার খাদ্য প্রভৃতি, ৬৮৬ পরিবারের মধ্যে ২টি করে ভেড়া, ভেড়া রাখার ঘর তৈরির উপকরণ প্রভৃতি, ৮৫৭ পরিবারের মধ্যে ২০টি করে হাঁস, হাঁস রাখার ঘর তৈরির উপকরণ প্রভৃতি এবং ১৮১ পরিবারের মধ্যে একটি করে ষাঁড় বাছুর, বাছুর রাখার ঘর তৈরির উপকরণ প্রভৃতি বিতরণ করা হয়। সবশেষ গত মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ১৮১ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয় ষাঁড় বাছুর। উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেক, ভেটেরিনারী সার্জন ডা. আল আমিন তাং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ষাঁড় গরু নিতে আসা আদিবাসীরা জানান, তারা বিনামূল্যে এসব পেয়ে দারুন খুশি। এসব লালন পালন করে আগামী দিনে স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন তারা। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এলাকার আদিবাসীদের জীবন মানে উন্নয়ন হবে এমনটাই ভাবছেন স্থানীয়রা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।