সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলাঃ
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় কাচারীপাড়া (ভূমি অফিসের পূর্ব পাশে) শতাধিক গ্রাহকের প্রায় তিন কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাথের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিবরামপুর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট লিঃ এর সভাপতি মাহাফুজুর রহমানের বিচারসহ পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা।শিবরামপুর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট লিঃ এর সভাপতি মাহাফুজুর রহমান উপজেলার উত্তর গ্রাম ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ছামাদ মিয়ার ছেলে। সাপাহার উপজেলায় ও শিবরামপুর এগ্রিকালচার নামে একটি শাখা পরিচালিত হতো বর্তমানে সেই শাখা ও তালাবদ্ধ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শতাধিক সদস্য দীর্ঘ দিন যাবৎ শিবরামপুর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট লিঃ এ টাকা পয়সা জামানত হিসেবে জমা রাখে আসছে যা মেয়াদ পূর্ণ হলে লভ্যাংশ সহকারে ফেরত দেওয়ার কথা।মেয়াদ পূর্ণ হলে সদস্যরা টাকা চায়তে গেলে ডেট দেন। তার ডেট দেওয়া তারিখে গেলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখান। সদস্যদের দাবি তাদের সকলের টাকা দ্বারা বিভিন্ন জায়গায় জমি ও ফ্লাট ক্রয় করেছেন। বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা সহ অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। সকল সদস্যগন সভাপতির বসতবাড়ীর সাকিনে গেলে সভাপতিকে না দেখতে পেয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তায় এক পর্যায়ে তার স্ত্রী সকল সদস্যদের অকথ্য গালিগালাজ করা সহ বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।কিছুদিন পূর্বে আবারো সদস্যগন মাহফুজুর রহমানের বসতবাড়ীর সাকিনে গিয়ে দেখতে পায় সদর দরজায় তালা ঝুলানো।সকল সদস্যগন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হন এবং তারা জানতে পারেন সকলের টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়েছে। ভুক্তভোগী সদস্যগণ হলো,মো:আজিজার রহমান,চিত্তরঞ্জন সাহা, বিকাশ,নিপেন,সমীর চন্দ্র সাহা, উত্তরণ দাস,সুপল,,লিপু,প্রকাশ,বিকাশ চন্দ্র সাহা, আবুল কালাম, মাসুদ,দেবাশীষ দাস, প্রিয়াঙ্কা, মিরাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, লতিফুর রহমান, শুভেন্দু, ডলি,ঝর্ণা প্রমুখ। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে মহাদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা।অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার মাহফুজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হাশমত আলী জানান,তদন্ত অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।