Tuesday, September 16, 2025
spot_img

নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।

Homeবিশেষ সংবাদরাজশাহীতে ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ, চলছে ধর্মঘট

রাজশাহীতে ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ, চলছে ধর্মঘট

রাজশাহীতে ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট চলছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়েনি। আজ দুপুরে রাজশাহী নগরের একটি তেল পাম্পেছবি : প্রথম আলো

খুলনা ও রংপুর বিভাগের মতো রাজশাহীতেও তিন দফা দাবিতে ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ১২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন ব্যবসায়ীরা। এ ধর্মঘট চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। আজ সোমবার সকাল ছয়টা থেকে রাজশাহীতে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিগুলো হচ্ছে, বর্তমান জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানো, তেলের ডিপো থেকে ৪০ কিলোমিটারের বাইরে ট্যাংক-লরির ভাড়া বাড়ানো এবং পেট্রলপাম্পের ওপর আরোপিত বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্স প্রথা বাতিল করতে হবে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এ ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। এ ধর্মঘট রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে হচ্ছে।

তবে ডিপো থেকে জ্বালানি উত্তোলন বন্ধ থাকলেও ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়েনি। রাজশাহী জ্বালানি তেলের পাম্প তেলে ভোক্তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি কিনতে পারছেন। পাম্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে দুই-তিন দিন চলার মতো জ্বালানি রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী জেলার সভাপতি মনিমুল হক বলেন, তাঁরা অনেক দিন ধরেই তাদের দাবি-দাওয়া জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এ বিষয়ে। এ জন্য তাঁরা কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশমতো ধর্মঘট পালন করছেন। এই ধর্মঘট পরে আরও বাড়বে কি না, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

মনিমুল হক আরও বলেন, রাজশাহীর পাম্পগুলোয় আগামী দু-তিন ভোক্তাকে দেওয়ার মতো জ্বালানি রয়েছে। তবে তাঁরা চান, খুব দ্রুত তাঁদের কমিশন বাড়ানো হোক।

রাজশাহী বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক ও ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেলের জন্য ২ দশমিক ৪৮ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। পেট্রল ও অকটেনে এর চেয়ে একটু বেশি। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলে বর্তমান মূল্যের সাড়ে ৭ শতাংশ হারে কমিশন চেয়ে আসছেন। এ জন্য তাঁরা কমিশন বৃদ্ধির জন্য বিপিসিতে একাধিকবার আবেদনও করেছেন। কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম সম্প্রতি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়লেও কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি তাঁরা চান ৪০ কিলোমিটারের বাইরে ট্যাংক-লরির ভাড়া বৃদ্ধি এবং পেট্রলপাম্পের ওপর বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্স প্রথার বিলুপ্তি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments