মো:শরিফুল ইসলাম। ক্রাইম রিপোর্টার। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যে লাশের পরিচয় শনাক্ত এবং হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে বারোটায় শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এ তথ্য জানান।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেল চারটায় উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের চড়াচিথুলিয়া গ্রামের মন্ডলপাড়ায় হাকিম মণ্ডলের ধানক্ষেতে আনুমানিক ১৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত যুবকের অর্ধ গলিত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।খবর পেয়ে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে শাহজাদপুর থানায় নিয়ে আসে।পুলিশ নিহতের পরিচয় শনাক্ত করাসহ তার হত্যাকারীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযানে নেমে পড়ে এবং পার্শ্ববর্তী বেড়া, ফরিদপুর ও সাথিয়া থানাকে অবহিত করে।চাঞ্চল্যকর এই বিষয়টি সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে পরদিন বুধবার চারটায় মৃত রাসেলের পরিবার শাহজাদপুর থানায় এসে ভিকটিমের লাশ দেখে শনাক্ত করেন, মৃত যুবকের নাম মোঃ রাসেল (১৫ ) সে পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার ডেমরা গ্রামের মোঃ রবিউল ইসলামের ছেলে।মৃত রাসেলের বাবা মোঃ রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।শাহজাদপুর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও অফিসার ইনচার্জ মো. খাইরুল বাশারের তত্ত্বাবধানে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং এস আই শারফুল ইসলামের নেতৃত্বে শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি দল ৫ অক্টোবর গভীর রাতে (সাড়ে তিনটায়) উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাঈদ মন্ডলের ছেলে আসামি মোঃ জাহাঙ্গীর (৩১) কে গ্রেফতার করে।এসময় তার নিকট থেকে লুন্ঠিত মোবাইল, ভ্যানের ০৪ টি ব্যাটারী ও চাবি এবং ভ্যান বিক্রয়ের নগদ ৫,৫০০/- টাকা উদ্ধার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বাশের লাঠি ও লুংঙ্গি জব্দ করা হয়।প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক গত পাঁচ বছর আগে তিনি তার সিএনজি বিক্রি করে দেয় পরে সে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।কিন্তু অল্প আয় দিয়ে তার সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। অভাবের তাড়নায় তিনি ভ্যান-ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তিনি গত ১লা অক্টোবর বিকাল চারটায় ডেমরা বাজারে যান এবং টার্গেট খুঁজতে থাকেন।আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিনি মৃত রাসেলকে ভ্যানসহ দেখতে পেয়ে সুকৌশলে তাকে চড়াচিথুলিয়া মন্ডল পাড়াতে (গোবরের ঘুষি) ৭০ টাকা ভাড়ায় চুক্তি করে নিয়ে আসেন।রাত আনুমানিক আটটায় মন্ডলপাড়া এলাকায় এসে ভ্যান থামিয়ে পাশেই মাঠের মধ্যে বস্তা আছে বলে তাকে নিয়ে যান।এরপর তিনি বালুর মাঠে গিয়ে রাসেলকে মেরে ফেলার ভয় দেখান। সে সময় পাশে থাকা একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে রাসেলের মাথার বাম পাশে আঘাত করলে রাসেল মাটিতে পড়ে যায় এরপর তিনি রাসেলের পরিধেয় লুঙ্গি তার গলায় পেচিয়ে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি জাহাঙ্গীর রাসেলকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।