সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
নওগাঁর মহাদেবপুরে শখের বশে কমলা চাষে সফলতা পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম রানা নামের এক যুবক। ১২ শতাংশ জমি থেকে এখন বছরে আয় করছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা। আগামীতে তিনি আরও লাভবান হবেন বলে আশাবাদী। তার এই সফলতায় অন্যদের মনেও জাগাছে আশা। ক্ষুদ্র এ উদ্যোক্তা উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের ঈশ্বর লক্ষীপুর গ্রামের খয়বর আলীর ছেলে।
জানা যায়, জীবিকার তাগিদে ছোট বেলায় সে রাজধানী ঢাকা শহরে চলে যায়। সেখানে দীর্ঘদিন যাবত পোশাক কারখানায় কাজ করে। সারা বিশ্ব যখন স্থবির হয়ে যায় তার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও তখন তিনি চলে আসে গ্রামে এরপর ইউটিউবে দেশের মাটিতে কমলা চাষের ভিডিও দেখে কমলা চাষের প্রতি আগ্রহ জাগে তার। এরপর চুয়াডাঙ্গা থেকে ৩শ টাকা পিস চারা কিনে এনে ১২ শতাংশ জমিতে ৪৫টি চারা রোপণ করেন। এটা দেখে প্রথমে অনেকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য শুরু করেন। তাদের কথায় তিনি আশাহত হয়ে কমলার বাগানে কমলা গাছের ফাঁকে ফাঁকে পেয়ারার গাছ লাগান। এরপর গত বছর গাছে মুকুল আসে এবং কিছু কমলা ধরে। এটা দেখে তিনি আশায় বুক বেঁধে পেয়ারার গাছ গুলো কেটে ফেলেন। এবারে ওই বাগানের সব গুলো গাছে থোকা থোকা হয়ে কমলা ধরেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম রানা বলেন, আমি ইউটিউব দেখে আগ্রহী হয়ে কমলা গাছের বাগান করি। গাছ লাগানোর দুই বছর পর থেকে গাছে কমলা ধরতে শুরু করে। প্রতি বছর মার্চ মাসে মুকুল আসে সেই মুকুল থেকে কমলা পেতে ৯ থেকে ১০ মাস পরিচর্যা করার পর নভেম্বর মাসের শেষ থেকে ডিসেম্বর মাসে ফল উত্তোলন করা হয়। গত বছর আমি ২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে আয় করেছিলাম প্রায় ১৪ হাজার টাকা আর এবারে অনেক বেশি কমলা ধরেছে। এ পর্যন্ত এ বাগানে আমার সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। আমি আশাবাদী এবারে ৫০ হাজার টাকার মত কমলা বিক্রি করতে পারবো।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, কমলা অনেক লাভজনক একটি ফসল। আমাদের বরেন্দ্র অঞ্চলে সকল প্রকার ফসল হয়। কমলা চাষ করে কম খরচে অনেক বেশি টাকা এতে আয় করা যায়। আমরা ওই বাগান পরিদর্শন করে এসেছি। এবং তাকে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।