মোঃ শরিফুল ইসলাম (শরিফ এম এ) ক্রাইম রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধ: নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন ৷হোক, সার্থক হোক।
সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তগত শাহজাদপুর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় একটি র্যালি বের হয়।
শাহজাদপুর উপজেলার তিন জন মৎস্য জীবিকে মৎস্য পুরস্কার দেওয়া হয়।পুরস্কার প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষিরা হলেন কে, এম, নাসির উদ্দিন, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ ময়েন উদ্দিন।
সপ্তমবারের মত মৎস্য পুরস্কার পেলেন শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকারী সদস্য সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার কে এম নাছির উদ্দীন। ইতি পূর্বে ২০০১ সাল হতে প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষি লাগাতার ২০০৮, ২০১৩,২০১৪,২০১৫, ২০১৯ এবাং বর্স শেষে ২০২৩ সালে প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষি সেরা শ্রেষ্ঠত্ব স্বরূপ সম্মাননা পুরস্কার ও সনদ পেলেন সপ্তমবার ।
নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষ্য নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় উপস্তিত ছিলেন শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, সহকারী কমিশনার ভুমি লিয়াকত সালমান, আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এলিজা খান, সফল মৎস্য চাষী কে এম নাছির উদ্দিন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাহজাদপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাথী রানী নিয়োগী।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী ইউপি চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা সভায় উপস্থিত
ছিলেন ।
এবারের মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে কেন্দ্র থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। স্মার্ট মৎস্য খাতে উৎপাদন, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রফতানির প্রক্রিয়ায় স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
জানা গেছে, ২০৪১ সালে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’। মৎস্য সপ্তাহ চলবে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৪১ সালে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন, যা বর্তমান উৎপাদনের তুলনায় ১ দশমিক ৮ গুণ বেশি। উৎপাদিত মাছ যাতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে। ২০২০ সালে মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ আইন করা হয়েছে। সমুদ্র সীমাসহ অন্যত্র যারা মাছ আহরণে সম্পৃক্ত, তাদের প্রতিটি নৌযানে যান্ত্রিক পদ্ধতি সংযোজন করা হচ্ছে। যাতে তাদের মনিটরিংয়ের আওতায় রাখা যায়। পাশাপাশি কোনও মৎস্য নৌযান দুর্ঘটনায় পড়লে, তাদের অবস্থান জানার জন্যও এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হচ্ছে। এভাবে মৎস্য খাতে ডিজিটালাইজড পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে।
মৎস্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা মৎস্যজাত পণ্যের প্রায় ৭০ ভাগ ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্টস। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত আইকিউএফ, কুকড, ফিস ফিলেট ভ্যালু অ্যাডেড মৎস্য জাতীয় পণ্য রফতানি হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন,
মাছের বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে যারা কাজ করতে চায়, তাদের সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের উৎসাহিত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ সরকার নানারকম সহায়তা প্রদান করছে।
তিনি জানিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাছের খাবারে খারাপ জিনিস মেশায়। তাদের ব্যাপারে অনেক জায়গায় মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা করেছি, খামারিদের সচেতন করেছি। স্থানীয় পর্যায়ে ফিশারিজ অফিসাররা হঠাৎ ভিজিট করছেন। যেখানে এ রকম অবস্থা দেখা যাচ্ছে সেখানেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তাদের আরও তৎপর হওয়া দরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।