
সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুস সদুখোর। বিদেশি অনুদানে চলে। কিন্তু তারপরও সংস্কারের চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে তাও হতো না। সংস্কার ছাড়া কাউকে ক্ষমতায় যেতে দিবো না। রাষ্ট্র সংস্কারে বার বার রক্ত দিবো না।
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার এবং খুনিদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে নওগাঁয় বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা আব্দুল হক আজাদ আরে বলেছেন, নির্বাচন এবং সংস্কার দুটোই প্রয়োজন। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে ২ হাজার মানুষ রক্ত দিয়েছে এবং ৩০ হাজার আহত হয়েছে তার কোন মূল্য থাকবে ন। আমরা সংস্কারের কথা বার বার বলে আসছি।
তিনি বলেছেন, আইন তার সঠিক গতিতে চলতে হবে। যদি না হয় দেশে কিয়ামত পর্যন্ত সরকার পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু মানুষের ভাগ্য ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না।
কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারি আমলারা তার দলের কর্মীতে পরিণত হয়েছিল। এ কর্মীরা সরকারের বিপক্ষে কিছু বলতে পারতো না। বরং যে সরকারের বিপক্ষে বলেছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মাস্টার মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম এর সভাপতিত্ব এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নওগাঁ-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হক শাহ চৌধুরী , নওগাঁ-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর মোঃ দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁ-৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি মুহাম্মদ নাছির বিন আছগর, নওগাঁ-৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা সোহরাব হোসেন, নওগাঁ-৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আব্দুর রহমান এবং নওগাঁ-৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সহ অন্যরা।
এসময় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি গণমিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দয়ালের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।