প্রকাশের সময় : ঢাকা, ২১আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ০৫ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১৬ জিলহজ্ব ১৪৪৪ হিজরি,আপডেট : ০৫:৫০:৩৫ পিএম .
মোহাম্মদ সাইদ ( স্টাফ রিপোর্টার ):- রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। মিলিকে জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত মাসে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৫ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে নির্ধারিত দিনে বুধবার (৫ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি অপরাধদমন২৪.কম নিউজকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
তিনি বলেন, রোববার ডা. মিলির আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। তার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন শুনানি করেছেন। আদালত শুনানি শেষে আদেশের জন্য ৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।
জানা গেছে, গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মাহবুবা রহমান আঁখি। এমনকী তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল বলেও চিকিৎসক জানিয়েছিলেন। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমেই সন্তান প্রসব সম্ভব বলে আশ্বস্ত করেছিলেন ডা. সংযুক্তা সাহা।
প্রসব ব্যথা ওঠায় গত ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তার অধীনে মাহবুবাকে (আঁখি) ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালেই ছিলেন না।
পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একই সঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গত ১০ জুন বিকেলে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় অবহেলা জনিত মৃত্যুর একটি মামলা করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও।
ওই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।