ঈশ্বরদী (পাবনা)সংবাদদাতা
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পালের ১০টি গরু মারা গেছে। এ ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় আরও ৪টি গরু জবাই করেছেন স্থানীয়রা।
৬ অক্টোবর (বুধবার) বিকালে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর বিস্তীর্ণ পদ্মা চরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় চররূপপুর এলাকার মোফাজ্জল বিশ্বাস ও রতন বিশ্বাসের ৭টি, জয়নাল বিশ্বাসের ১টি, বকুল প্রামাণিক ও একবুল প্রামাণিকের ১টি করে গরু মারা গেছে। এছাড়াও ৪টি গরু অসুস্থ হওয়ায় জবাই করা হয়েছে। এতে গরুর মালিকদের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও তারা জানান।
মৃত গরুর মালিক রতন বিশ্বাস জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালেও রাখাল গরুর পাল নিয়ে পদ্মার চরে যায়। বিকালে হঠাৎ খবর পাই পালের বেশ কিছু গরু মারা যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে ৭টি গরু মৃত অবস্থায় পায়।
রাখাল জিল্লু বিশ্বাস জানান, গরু চরানোর সময় পালের বেশকিছু গরু হঠাৎ লক্ষীকোন্ডার ওষুধ ব্যবসায়ী আনিস নামের এক ব্যক্তির কলাবাগানে ঢুকে কলার পাতা খাওয়া শুরু করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক গরুগুলোকে সরিয়ে নিয়ে আসি। এর কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ গরুগুলো অসুস্থ হতে গুরু করলে আমি মালিককে খবর দেই। ততক্ষণে দশটি গরু মারা যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় আরও চারটি গরু জবাই করা হয়।
অপর এক গরুর মালিক মোফাজ্জল বিশ্বাসের স্ত্রী রুম্পা বেগম বলেন, কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু পালনই আমাদের একমাত্র আয়ের উৎস। গরু পালন করেই ছেলেমেয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের সব খরচ বহন করেন আমার স্বামী। এতগুলো গরু একসঙ্গে মারা যাওয়ায় আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।
জয়নাল বিশ্বাস নামে আরও এক মালিক বলেন, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যদি কেউ অপরাধী হয় তার শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের মতো খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ফারুক হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কলাগাছের পাতায় বিষ ছিল। বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এসব গরু মারা গেছে। মৃত গরুগুলো থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। টেস্ট করার পরে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পালের অন্যান্য গরুগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওষুধ দেওয়া হয়েছে।