Tuesday, September 16, 2025
spot_img

নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।

HomeUncategorizedস্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় ওসি মাহবুবুর বর্তমান ওসি সুমন কুমারের অত্যাচারে...

স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় ওসি মাহবুবুর বর্তমান ওসি সুমন কুমারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ভোলাহাটবাসী।

স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় ওসি মাহবুবুর রহমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো ভোলাহাটবাসী।

এসএম রুবেল সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার রাজশাহী ব্যুরো।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার ওসি মাহাবুবুর রহমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও মানবেতর জীবনযাপন করছিলো ভোলাহাট উপজেলাবাসী। ওসি মাহাবুব ২০২০ সালে যোগদান করার পরপরই ঘুষের বাণিজ্য নিয়ে গড়ে তুলেছিল সম্রাজ্য। যাকেই ইচ্ছে হত তাকেই পুলিশ পাঠিয়ে ধরে আনতো। এখানেই শেষ নয় মারধর ও আটক রেখে মোটা অংকের টাকার প্রস্তাব দিতো তার পরিবারের লোকজনকে।

ওসির কাছে টাকা না পৌঁছালে দেওয়া হত অস্ত্র, মাদক, সন্ত্রাসী সহ বিভিন্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা। আর এতে এলাকার সহজ সরল নিরহ মানুষসহ লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীরাও পড়েছে তার কবলে। এছাড়াও ওসি মাহাবুবুর রহমান ওই উপজেলার বিভিন্ন মাদক কারবারির কাছে মাসির কর আদায় করতো। এমনকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ওসি নিজে দাঁড়িয়ে থেকেও পার করিয়েছে মাদক। তার নির্দেশনায় বসতো
জুয়া’র আসর শুধু তাই নয় অটো সিএনজি ইট ভাটা ভাংড়ি দোকান তুলা হতো মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের মাসিক চাঁদা।

তার এসবের কুকর্মের ঘটনাকে ঘিরে গোয়েন্দাকে তথ্য দিতো ভোলাহাট উপজেলার চামুশা গ্রামের ফুটানি বাজার এলাকার মোজাম্মেল হক (টুনু)’র ছেলে মোঃ সাংবাদিক ইয়াকুব আলী (২৬) তার সাথে ঘটেছে থানায় মারধরের ঘটনা উল্লেখ ২০২০ সালে ইয়াকুবের চাচাতো ভাইকে ভোলাহাট থানা পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে খাবার দিতে যায় ইয়াকুব আলী কিন্তু থানায় কর্মরত এসআই সিরাজ ৩০ হাজার টাকা দাবী করেন। তবে ভুক্তভোগী পরিবার টাকা দিতে রাজি না হলে ইয়াকুব আলীকে থানার মূল ফটকের সামনে এলোপাথাড়ি মারধর করে,এসময় থানা ওসি সহ তাদের নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে এক পথচারি।

এবিষয়ে,বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী। কিন্তু এ অভিযোগে কোন সুরাহা পাননি তিনি বরং অভিযোগের খেসারত হিসাবে ইয়াকুবকে বারবার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে টোটাল তার বিরুদ্ধে মোট মিথ্যা মামলা করা হয় ১১ টি মামলা দেই ওসি মাহাবুব। তবে মিথ্যা মামলার বিষয়ে টেরপাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট আমলি আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক হুমায়ুন কবির যার প্রত্যেকটি মামলায় বেখুসুল খালাস পায় ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী ও তার পরিবার। প্রতিকার চেয়ে বারবার ইয়াকুব আলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুলিশ হেডকোয়ার্টার ডাক বিভাগের মাধ্যমে অভিযোগ জানিও কোন সুরাহা পায়নি বরং আতঙ্কের মধ্যে প্রত্যেকটি দিন পার করছে ইয়াকুব আলী ও তার পুলিশের হাতে নির্যাতিত পরিবার। উল্লেখ গত ১৩ ই জুলাই মাদকের তথ্য না দেওয়াই মাদক কারবারি নুর নবী চাঁদ ওরফে বকুলকে চামুশা প্রাইমারি স্কুলের পাশে থেকে ফেনসিডিলের ৬ টি খালি বতুল কুড়িয়ে জোরপূর্বক জনতার সামনে থেকে বকুলকে উঠিয়ে নিয়ে যায় ভোলাহাট থানার ওসি সুমন কুমার সরকারের নির্দেশনায় পরবর্তীতে জানা যায় ৬টি খালি বতুলের সরেজমিনে দেখা মিলেছে এনিয়ে সাক্ষি করে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে ভোলাহাট থানার ওসি সুমন কুমারের আইডি থেকে বকুলকে ১৪ বতল ফেনসিডিল ও ৫০ গ্রাম হিরোইন দিয়ে তাকে মিথ্যা মামলায় চালান দায় ওসি সুমন কুমার। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি সুস্থ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা। পর্ব -১ (সরেজমিন প্রতিবেদন)

S M Rubel
S M Rubel
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি । মোবাইলঃ ০১৭৫৬-৯১১৯৪৬
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments