মোঃ নাজমুল ইসলাম, ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
৬ অক্টোবর বুধবার ঈশ্বরদীতে পৃথক ঘটনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ যুবক গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে।
এরা হলো মুন্সিগন্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার পেতাদিয়া এলাকার নূর বক্স হাওলাদারের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩২) ও নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার মানত্রী এলাকার কুতুবউদ্দিনের ছেলে বায়োজিদ হোসেন (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ ইয়ার্ডে সান্টিংরত একটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে আকস্মিকভাবে মিজানুর রহমান ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তার ২ টি পা হাঁটুর নীচে কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে খবর দিলে কর্তব্যরত একটি প্রতিনিধি দল সাথে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। কর্তব্যরত ডাক্তার তার প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। কিন্তু তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্হানান্তর করা হয়। আহত ঐ যুবক জানায়, এলাকায় কাজকাম না পাওয়ার কারণে পরিবারের লোকজন তাকে নানাভাবে মানসিক চাপ প্রয়োগ করতে । একারণে মনের কষ্টে বাড়ী থেকে কাজের সন্ধানে ঈশ্বরদী আসি। কিন্তু আমার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকায় এখানেও কেউ আমাকে কাজ দেয়নি, তাই অভিমানে ট্রেন ইঞ্জিনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করি।
অন্যদিকে বিকেল আনুমানিক পৌনে ৩ টার দিকে রংপুর এক্সপ্রেস নামক চলন্ত ট্রেন থেকে নামার সময় হাত ফসকে ট্রেনের চাকার নীচে পড়ে বায়োজিদ নামক ঐ যুবকের একটি পা ও একটি পায়ের পাঁচ আঙুল কেটে পড়ে গেছে। সে একজন মাদ্রাসার ছাত্র। সংবাদ পেয়ে স্হানীয় লোকজন ও রেলওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত দুজনের অবস্থায় আশংকা জনক হওয়ায় দুজনেই হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানাগেছে।