সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় ও মহাদেবপুরে বিভিন্ন রাইস মিল ও অটো রাইস মিলে অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ এবং প্যাকেটের গায়ে তথ্য না লেখার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ৬টি মিলকে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা খাদ্য বিভাগ।
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার হাপানিয়া এবং মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া ও সরস্বতীপুর এলাকার মিলগুলোতে টানা সাড়ে ৪ ঘণ্টা এ অভিযান চলে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার।
ধান-চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে খাদ্য আইন ও ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘনের দায়ে বিভিন্ন মিলকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে অবৈধ ভাবে ধান মজুদ রাখার অভিযোগে মহাদেবপুরের চকগৌরী এলাকায় অবস্থিত জিহাদ চাল কলকে ১ লাখ টাকা, সরস্বতীপুর এলাকায় অবস্থিত এসিআই ফুডস লিমিটেড রাইস ইউনটিকে আতপ চালের প্যাকেটে অতিরিক্ত মূল্য লেখায় ৫০ হাজার টাকা, হাট চকগৌরী এলাকার লাইলি চল কলকে অবৈধ ধান মজুদের অভিযোগে ১ লাখ টাকা, অবৈধ ধান চাল মজুদের অভিযোগে মহাদেবপুরের চৌমাশিয়া এলাকায় অবস্থিত রাকিব চাল কলকে ২ লাখ টাকা, মিলন ট্রডাসকে অবৈধ মজুদের অভিযোগ ৫০ হাজার টাকা, কুলসুম চাউল কলকে ৫০ হাজার টাকা এবং শহরের যুব উন্নয়ন এলাকায় অবস্থিত টিকে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ বলেন, “কয়েকদিন ধরে চাল ও ধানের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চলছে। আজকের অভিযানে ছয়টি মিলের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়ে জরিমানা করা হয়েছে।”
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, “খাদ্য আইনে কঠোর ব্যবস্থা না নিলেও সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও যদি আবার অবৈধ মজুদ পাওয়া যায়, তাহলে সরাসরি আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযানে সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, খাদ্য বিভাগ এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।