এসএম রুবেল,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক পৌর কাউন্সিলর খায়রুল আলম জেম হত্যা মামলায় ৩৪ জন আসামী অগ্রিম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৩ মে) হাইকোর্টের বেঞ্চ শুনানি শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান সহ ৩৪ জনকে ৪ সপ্তাহের অগ্রিম জামিন দেন। হাইকোর্টের আইনজীবী মো. মিনহাদুজ্জামান লিটন ও আইনজীবী সাঈদা ইয়াসমিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে এ্যাডভোকেট মো. মিনহাদুজ্জামান লিটন স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, খায়রুল আলম জেম হত্যা মামলা এজাহারভূক্ত ৩৪ জন আসামী সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও খন্দকার দিলিরুজ্জামানের বেঞ্চে বুধবার পৃথক পৃথকভাবে অগ্রিম জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বেঞ্চ প্রত্যেকের ৪ সপ্তাহের অগ্রিম জামিন মঞ্জুর করেন। এ্যাডভোকেট মো. মিনহাদুজ্জামান লিটন আরো জানান, তার তত্তা বধানে করা আলাদা চারটি জামিন আবেদনের মধ্যে একটিতে ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান, সামিউল হক লিটন, শহীদ রানা টিপু ও রহমত আলী। আর অন্য দুটি আবেদনে ছিলেন- মনিরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, আব্দুল করিম অভি, আজিজুর রহমান, ইয়াসিন আলী কোয়েল, আজম আলী, ওসমান আলী, আবু বাক্কার, আসাদুজ্জামান ছানা, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন, জামিল হোসেন, আব্দুস সামাদ ও শামশুল হুদা। অপর আইনজীবী সাঈদা ইয়াসমিন জানান, একই বেঞ্চে তার তত্তাবধানে জামিন হয়েছে আরো ১৬ জনের। তারা হলেন- আব্দুল হক, রাকিব উদ্দীন, দুরুল ইসলাম, আনিসুর রহমান সোনা, আতিয়ার রহমান, আব্দুল মতিন, গোলাম আজম, মবিন আলী, নুরনবী ইসলাম, রাজ্জাক আলী, মুকুল আলী, বাশার আলী, গোলাম ফারুক কালু, জাহাঙ্গীর আলম, সুজন আলী খোকন ও মো. রমজান। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়ন মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক পৌর কাউন্সিলর খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর ২২ এপ্রিল শনিবার নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত জেমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম। পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলার এজাহার ভুক্ত ১১ জন ও সন্দেহভাজন আরো ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে।