বিশেষ প্রতিনিধি
গত ৮ মে ২০২৩ তারিখ বিকালে আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া এলাকা হতে ভিকটিম মোঃ হৃদয় (২০) প্রতিদিনের মতো বাসা থেকে বের হয় এবং পরবর্তীতে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সেদিনই অজ্ঞাত পরিচয়ে ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে অপহরণ এবং জীবিত ফেরত পাবার শর্তে ৫০,০০,০০০/-(পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ দাবী সহ ভিকটিমকে মেরে ফেলারও হুমকি প্রদান করা হয়।
এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের পিতা নিরুপায় হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন এবং র্যাব-৪ বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করলে র্যাব উক্ত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে যার প্রেক্ষিতে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিম এর লাশ উদ্ধারপূর্বক উক্ত অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনার মূলহোতা পরান ও বাপ্পি’কে গ্রেফতার করলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে রাজধানীর পল্লবী এবং নওগাঁ জেলায় র্যাব-৪ ও র্যাব-৫ এর পৃথক আভিযানিক দল নিম্নোক্ত আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
মো: হৃদয় খান@ আকাশ (২২) জেলা: মাগুরা।
শাহীন@ বাবু (২৬)জেলা: নওগাঁ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় তাদের কৃত অপরাধের কথা স্বীকার করে। উক্ত হত্যাকান্ডের ও লাশ বস্তাবব্দি করে গুমের মূলহোতা পরান ও বাপ্পি সহ গ্রেফতারকৃত আসামী আকাশ এবং শাহীন আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিম হৃদয়’কে অপহরণ করে তার পরিবারের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে আসছিলো। মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় ভিকটিমকে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
অতঃপর সন্ধায় ভিকটিমের লাশ বস্তা বন্দি করে সুকৌশলে ঘটনাস্থল হতে রিকশা যোগে শ্রীপুর এলাকাধীন একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়। অতঃপর আসামীরা আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। উক্ত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।