সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলাঃ
নওগাঁর মহাদেবপুরে পঞ্চাশ বছরের পুরাতন গ্রামীণ রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করার অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে কমপক্ষে ১৫টি পরিবারের ধানের গাড়ী নিয়ে যেতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বকাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ছয়েফ উদ্দিন সরদারের ছেলে বকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন রতন, মৃত তাছির উদ্দিনের ছেলে বৃদ্ধ আজিজুল ইসলাম, সুজন হোসেন, সেকেন্দার আলী, হামিদুর রহমান, এজদুল ইসলাম, খোকা, জাহের উদ্দিন প্রমুখ অভিযোগ করেন যে, বকাপুর সরদার পাড়া পাকা রাস্তা থেকে পূর্বপাড়ায় আসার জন্য পঞ্চাশ বছর আগে থেকে একটি গরুর গাড়ী চলার রাস্তা ছিল। পূর্বপাড়ার ১৫টি পরিবারের জমি থেকে ধান আনা নেয়ার কাজে এই রাস্তা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ১৯৯২ সালে জমির মালিকেরা রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দেন। পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ জানান। এরমধ্যে প্রতিবন্ধী শিক্ষক রুহুল আমিন রতনের বাবা প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্ট্রোক করেন। দু’সপ্তাহ ভূগে তিনি মারা যান। এরপর গ্রামের লোকেরা ওই গর্ত পূরণ করে আবার রাস্তা বের করেন। সম্প্রতি এই রাস্তায় আবার বাঁশের কাবারির বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা দারুণ বেকায়দায় পড়েছেন। অবিলম্বে তারা বেড়া অপসারণ করে আবারও রাস্তাটি খুলে দেয়ার দাবি জানান। শনিবার (৩ জুন) বিকেলে সরেজমিনে ওই গ্রামে গেলে শিক্ষক রুহুল আমিন রতন কান্নাজড়িত কন্ঠে তার বাবার মৃত্যুর কথা স্মরণ করে রাস্তাটি আবার খুলে দেয়ার দাবি জানান। ওই গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ আজিজুল হক জানান, পঞ্চাশ বছর ধরে তারা এই রাস্তা ব্যবহার করছেন। এখন এটা বন্ধ করে দিলে ভবিষ্যতে তাদের সন্তানেরা ঘরে ধান তোলার রাস্তা পাবেনা। তিনিও রাস্তাটি খুলে দেয়ার দাবি জানান। জানতে চাইলে ওই জমির মালিক জাহাঙ্গীরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারি অধ্যাপক মাহফুজুল আহসান জুয়েল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে তিনি বেড়া দিয়েছেন। তার পূর্বপুরুষেরা ওই জমির উপর দিয়ে রাস্তা দিলেও তিনি দিবেন কিনা সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। স্থানীয়রা যেকোন মূল্যে ওই রাস্তা খুলে দেয়ার দাবি জানান।#