প্রকাশের সময় : ঢাকা, ২৩আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ০৭ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১৮জিলহজ্ব ১৪৪৪ হিজরি,আপডেট : ০৩:৫০:৩৫ পিএম .
মোহাম্মদ সাইদ: (স্টাফ রিপোর্টার) ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন শাক্তা ইউনিয়ন বিএনপির কতৃক আয়োজনে সিকারীটোলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কেরাণীগঞ্জ তথা ঢাকা-২ হতে নির্বাচিত সাবেক এমপি ও মন্ত্রী ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক,সাবেক ডাকসু ভিপি,আমান উল্লাহ আমানের কারাদণ্ড হাইকোর্ট বহাল রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাক্তা ইউনিয়ন বিএনপি।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টায় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির কার্যালয় হতে মিছিল বের করে দলটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি সিকারীটোলা কার্যালয় হতে শুরু করে আটিবাজার জয়নগর মাঠে এসে শেষ হয়।
এসময় নেতাকর্মীরা মিছিলে মিছিলে শ্লোগান দিয়ে মুখরিত করে রাজপথ,”আমান ভাইকে মামলা দিয়ে অবৈধ রায় দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই”। আমরা রাজপথ ছাড়ি নাই’,আমান ভাইয়ের ভয় নাই ‘আমান ভাইয়ের হুলিয়া, নিতে হবে তুলিয়া।অবৈধ রায় কেরাণীগঞ্জবাসী তথা বাংলাদেশের সাধারন মানুষ মানেনা।
মিছিল শেষে শাক্তা ইউনিয়নের সকল নেতাকর্মী জয়নগরের সিএনজি স্ট্যান্ড জড়ো হয়ে এক সভা করেন, এতে বক্তব্য রাখেন, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শামীম হাসান,থানা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক,জানে আলম সুমন, কোষাধ্যক্ষ তারেক ইমাম বাবুল, যুবদলের থানার নেতা মাসুদ রানা,আজকের সভার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সমাপনী বক্তব্য রাখেন খাইরুল আমিন।
বক্তব্যে নেতারা বলেন,নির্বাচনকে আওয়ালীগের পক্ষে ইনফ্লুয়েনস করার জন্য জনপ্রিয় নেতা আমান উল্লাহ আমানকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে এ অবৈধ সরকার। আওয়ালীগ পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চায়। তারা উল্টোপাল্টা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে।
তিনি ( শামীম হাসান) বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের আগে সরকার ষড়যন্ত্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের জেল, মামলা দিয়ে চলমান আন্দোলন স্তব্দ করে দিতে চায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষে যে জনমত তৈরি হয়েছে তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে তারা একান্ত। তাই সরকারের কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। এ সময় নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর মামলা হামলা স্থগিত রাখার দাবি জানান নেতারা।
কথিতথাকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুর্নীতির ২ মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।এর আগে একটি মামলায় আমান ও সাবেরাকে যথাক্রমে ১৩ বছর ও ৩ বছর কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত।
২০০৭ সালের ২১ জুন অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের বিবরণীতে তথ্য গোপনের দায়ে আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।অপরাধে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় একই আদালত তার স্ত্রী সাবেরাকেও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই দম্পতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস দেন। বক্তাদের দাবী রাজনৈতিক হিংসা বশত এ সরকার ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তাদের আপিলের ওপর নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেন।
বক্তব্যে নেতারা আরও বলেন, দুদকের বহু মামলায় আওয়ামিলীগের নেতারা খালাস পেয়েছে সরকার তাদের বিরুদ্ধে আপিল করে মৃত মামলা পুনর্জীবিত করেনি দুদক। সরকারের এ বিরোধীতা সাধারণ জনগন বুঝে । সরকারের কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। এই অবৈধ সরকার আমাদের প্রানপ্রিয় নেতা রাজপথের লড়াকু সৈনিক আমান উল্লাহ আমান ভাইকে ভয় পেয়ে মামলা দিয়ে হয়রানী করে আন্দোলন বন্ধ করতে চায় ।অনতিবিলম্ব এই ফরমায়েশী রায় বাতিল করতে সরকার জোড়াল দাবী জানাই ।আমারা রাজপথে থেকে আরও কঠিন কর্মসুচীর ডাক দিব বলে সরকারকে হুশিয়ারী প্রদান করেন নেতারা ।
নেতাকর্মীদের দাবী সরকার বিরোধীদলকে মামলা হামলা করে ঘায়েল করতে চায় এঅবৈধ ভোট ডাকাতি সরকার। আমানউল্লাহ আমানের হুংকারের ভয়ে এ রায় বহাল রাখে সরকার । তবে সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা এ রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ।
উক্ত বিক্ষোভ সভায়, বিএনপি ছাড়াও শাক্তা ইউনিয়নের যুবদল,ছাত্রদল,সেচ্ছাসেবক দল,জাসাস,শ্রমিকদল,কৃষকদল,মৎসজিবীদলসহসকল অংঙ্গ-সংগঠনের ব্যানারে নেতাকর্মীদের উপস্হিতি দেখা যায়।