বিশেষ প্রতিনিধি: চর দখলের মতো করে যে যার মতো দখল করে রেখেছে হরিরডারা/চেকাডারা নদীটি। এমনকি নদীর মাঝখানে বাঁশের খুটি, চাটাই ও বেড়া দিয়ে পানি প্রবাহে বাধা তৈরি করে রেখেছেন। নদীতো নয় যেন জেগে ওঠা চর। ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কৈমারী গ্রামের উপর দিয়ে ভারত থেকে বয়ে আসা নদীটি বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নাম ধারন করে মিরজাগঞ্জের ডারিকামারী হয়ে ডোমারের শালকি নদীতে মিশেছে। নদী দখলের বিষয়ে বৃহস্পতিবার ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া গ্রামে নদী পরিদর্শনে আসেন জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্ত রিভারাইন পিপলের পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ সহ দেওনাই, শালকি ও চেকাডারা নদী সুরক্ষা কমিটির লোকজন। সেখানেই গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। ওই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে বাবু তার বাড়ি সংলগ্ন হরিরডারা/ চেকাডারা নদীতে বাঁশের খুটি বসিয়ে চাটাই ও বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। কিছু অংশে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। বাবুর মতো অনেকেই চাটাই ও বেড়া দিয়ে যে যার মতো করে ঘিরে রেখেছে ছোট এই নদীটি। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নদীর পানি প্রবাহ। নদী দখলের বিষয়ে বাবু জানায়, বর্তমান নদীটি আমার জমিনের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আমার বাস্তুভিটা রক্ষার জন্য আমি নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছি। নদীর প্রকৃত জায়গায় বাঁশ লাগিয়ে দখল করে রেখেছেন প্রতিবেশী হাসিবুল, রবিউল, রাসেল ও শিমুল। তারা নদীর জমি দখল করে রাখায় আমার ব্যাক্তি মালিকানা জমিনের উপর দিয়ে নদী প্রবাহিত হচ্ছে। একই গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী নুরজাহান বেগম জানান, নদীর জমি দখল করে বাড়ি ঘর করায় আমার কেনা জমি ভেঙে নদী হয়ে যাচ্ছে। নদী দখলের বিষয়ে চেকাডারা নদী সুরক্ষা কমিটির সভাপতি শাহজাহান আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, নদী মাত্রিক এই দেশে নদী বাঁচলে আমরা বাঁচবো, পরিবেশ প্রকৃতি বাঁচবে। তাই নদীর গতি প্রবাহ ঠিক রাখতে এবং নদী দখল মুক্ত করতে আমরা প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রথমে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য লিখিত ভাবে জানিয়েছি।