Sunday, November 24, 2024

নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।

Home Uncategorized হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন” প্রতিষ্ঠার অনুরোধে মানব বন্ধন শেষে স্মারকলিপি প্রদান-

হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন” প্রতিষ্ঠার অনুরোধে মানব বন্ধন শেষে স্মারকলিপি প্রদান-

ডা. আজাদ খান, বিভাগীয় ক্রাইম রিপোর্টার ময়মনসিংহ,

তাং ১২ জুলাই ২০২৩ খ্রী.

জামালপুরে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় “হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন” প্রতিষ্ঠার অনুরোধ মানব বন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।

বুধবার (১২ জুলাই) স্থানীয় পিটিআই গেইট, ফুলবাড়ীয়া, জামালপুরে উল্লেখিত দাবিতে মানব বন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানের অনুষ্ঠানে এমএইচ মজনু মোল্লা, সভাপতি বাংলাদেশ মানবতা ফোরাম ও নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), জামালপুর জেলা শাখার নের্তৃত্বে, মোঃ মনিরুজ্জামান খান, অধ্যক্ষ জামালপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, মোহাম্মদ এনামুল হক, প্রধান নির্বাহী, সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এসপিকে), মোহাম্মদ সেলিম, নির্বাহী পরিচালক, রুরাল এন্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, মোহাম্মদ রফিকুল ইলাম সরকার, নির্বাহী পরিচালক, এসডিও, মোঃ আনিছুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক, অগ্রদূত সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, মোছাঃ মোস্তাকিমা, নির্বাহী পরিচালক, রশিদপুর বটতলা সিবিও, আসমা খন্দকার আশা, নির্বাহী পরিচালক, জামালপুর ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ডাঃ ইসমাত জাকিয়া তানজিম (আঞ্জু), সদস্য, বাপা, জামালপুর, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক, প্রগতি কৃষি উন্নয়ন সংস্থা সহ আরও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার জনগন উক্ত মানব বন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
উক্ত মানব বন্ধন শেষে সাতটি সংগঠনের নেত্রীবৃন্ধ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক, জামালপুরের মাধ্যমে প্রদান করেন।
স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখাতে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতিও হয়েছে। তার মধ্যে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, গড় আয়ূবৃদ্ধি, সারা দেশে ডিজিটাল হাসপাতাল- ‘ইনস্ট্যান্ট ডক্টর ভিডিও কল ও চ্যাট’, টেলিমেডিসিন সেবাচালু, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু ইত্যাদি। যার ফলে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ অর্জন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পোলিও নির্মূল সনদ লাভ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরষ্কার ও অর্জন করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুসারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ” হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। এর চারটি ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ। এটির বাস্তব রূপ দেবার জন্য অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি স্মার্ট নাগরিক এর জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জরুরী। স্বাস্থ্য বান্ধব রাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” থেকে “স্মার্ট বাংলাদেশে” রূপান্তরের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ এর অন্যতম প্রধান উপাদান স্মার্ট স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য খাতের এই উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

গত ১০ বছরের বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, প্রতিনিয়তই বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়। এভাবে ক্রমবর্ধমান হারে চিকিৎসা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেলে উদ্ভুত পরিস্থিতি রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য বিরাট সংকট তৈরী করবে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে স্বাস্থ্য খাতের জন্য নির্ধারিত বাজেটের সিংহ ভাগই চিকিৎসা কেন্দ্রিক। শুধু মাত্র চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অর্থ ব্যয় করে ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না।
“বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১” লক্ষ্য রেখে এ ধরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে চিকিৎসা ব্যয় অনেক কমে আসবে এবং স্বাস্থ্যের উন্নয়ন হবে। অন্যথায় জনগণের গড় আয়ূ বৃদ্ধি পেলেও বার্ধক্য জনিত রোগ সহ অসংক্রামক (হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ) রোগ আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। যার ব্যয় ভার রাষ্ট্র বা জনগণের পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন উদ্যোগ স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। পাশাপাশি কৃষি, খাদ্য, ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় গুলো সমন্বিত ভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইতি মধ্যে বিশ্বের ২৩টি দেশ “হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এবং নির্ধারিত ফান্ড দ্বারা পরিচালিত এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে। হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে গবেষণার আলোকে কর্মপন্থা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গবেষণা ও এডভোকেসির পাশাপাশি যোগাযোগ ও নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের পাশাপাশি রাষ্ট্রের চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক।

হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন তামাক, এলকোহল, অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ন্ত্রণ এবং সম্ভাব্য অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় সফলতার সাথে কাজ করছে। তারা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় তুলনা মূলক অল্প বিনিয়োগ করে সহজে রাষ্ট্রের চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তামাক এবং এলকোহলের উপর নির্ধারিত কর আরোপ করে এ ধরণের ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে। যা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের পাশাপাশি রাষ্ট্রের চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আরোপিত কর সরাসরি হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনের তহবিল গঠনে ভূমিকা রাখছে। যারফলে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা এসেছে।

প্রথমত: স্বাস্থ্যহানীকর পণ্যের কর বৃদ্ধি এর ব্যবহার কমাতে ভূমিকা রাখছে।
দ্বিতীয়ত: নিজস্ব এবং নির্দিষ্ট একটি অর্থের যোগান তৈরি হচ্ছে ফলে সরকারের উপর বাড়তি চাপ কমে আসছে।
তৃতীয়ত: এ খাতে অর্থের পরিমাণ কম হলেও দীর্ঘমেয়াদী কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ঘটছে।

আমরা আশা করি, আপনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্বাস্থ্য খাতে অর্জিত এ অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শুধু মাত্র চিকিৎসা নয় স্বাস্থ্যটাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে গড়ে তোলার জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করণ এবং স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান ব্যয় কমিয়ে আনতে আমাদের সুপারিশ সমূহ-

১) হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা ও তহবিল গঠন করা। (প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় এর অধীনে হতে পারে)
২) অস্বাস্থ্যকর পণ্য (কোমল পানীয়, তামাক, ফাস্টফুড, জাংকফুড, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকপণ্য) এর উপর নির্ধারিত কর আরোপ করে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন এর আর্থিক যোগান স্থায়ীত্বশীল ও নিশ্চিত করা।
৩) সরকারের বিদ্যমান কমিউনিটি ক্লিনিক এবং বিশ্ব বিদ্যালয় গুলোর সাথে হেলথ প্রমোশনের বিষয়টি যুক্ত করা।
৪) হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন বিষয়ক পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সকল মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা।
৫) হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন বিষয়ক পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সিভিল সোসাইটি, পরিবেশকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করা এবং মতামত যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশের যে অর্জন সেটি সম্ভব হয়েছে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে আপনার কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে, জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি

মোঃ শফিকুল ইসলাম আজাদ খান
মোঃ শফিকুল ইসলাম আজাদ খান
ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রাইম রিপোর্টার, মোবাইল নাম্বার- ০১৭১২৮০৫৮০৪
RELATED ARTICLES

শখের বশে কমলা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন নওগাঁর শফিকুল

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে শখের বশে কমলা চাষে সফলতা পেয়েছেন শফিকুল...

নওগাঁর মহাদেবপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত...

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলাতে জামায়াতে ইসলামীর দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২০২৫/ ২০২৬...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

শখের বশে কমলা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন নওগাঁর শফিকুল

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে শখের বশে কমলা চাষে সফলতা পেয়েছেন শফিকুল...

নওগাঁর মহাদেবপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত...

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলাতে জামায়াতে ইসলামীর দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২০২৫/ ২০২৬...

নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সুমন হত্যার মূল আসামী বুলবুল আটক

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত সুমন হোসাইন...

Recent Comments