প্রকাশের সময় : ঢাকা, সোমবার ০২.রা শ্রাবণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ২৮ জিলহজ্ব,১৪৪৪ হিজরি,,আপডেট : ০৫:৫০:৩৫ পিএম
মোহাম্মদ সাইদ (স্টাফ রিপোর্টার)ঢাকার কেরানীগঞ্জে অটৈাচালক নয়ন হত্যার ঘটনায় চারজনকে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, রবিন, পিতা: মো: ইব্রাহীম, গ্রামের কামরাঙ্গীচর, মো: রিয়াজ, পিতা: হাবিব মিয়া, গ্রাম: তুলাতলা,জাজিরিা, মো: মনির, পিতা: কাহিদুল ইসলাম, গ্রাম: মালঞ্চ,কেরানীগঞ্জ, মো: সজিব, পিতা: কামির উদ্দিন, গ্রাম: ভাড়ালিয়া, কেরানীগঞ্জ।পুলিশ জানায়,তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১.৩০ মি. কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পক্ষে ,সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ক্রইম,অপস্ অ্যান্ড ট্রাফিক-দক্ষিন) সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন,এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার রহস্যের উন্মোচন ও আসামীদের গ্রেফতার করার কথা জানান।
অতিঃপুলিশ সুপার জানান, গত ৮ জুলাই দিবাগত রাত অনুমানিক ৩.৪৫ মিনিটে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সংবাদ পেয়ে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিয়ানগর রিপন হাজীর মার্কেটের সামনে থেকে অজ্ঞাত পরিচয় একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একটি চৌকস দল তদন্ত শুরু করে। বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে কেরানীগঞ্জ সার্কেল এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রত ও স্থানীয় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
অভিযানে পুলিশের এই বিশেষ দলটি ইজিবাইক চালক নয়ন হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত সন্দেহে নয়নের বন্ধু রবিনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যা মূল রহস্য উদঘাটিত হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনিয়ে নেয়া অটো ইজিবাইকটিও উদ্ধার ও হত্যায় জড়িত আর তিনজন কে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য গত ৮ জুলাই ঘটনার দিন নয়ন তার বন্ধুদের ইয়াবা ট্যাবলেট ফ্রি খাওয়ানোর জন্য ঘটনাস্থলের পাশে চারতলা মসজিদ সংলগ্ন মাঠে দাওয়াত দেয়। নয়ন তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার এক পর্যায়ে মাদক বিক্রির পাওনা টাকা হিসেব করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তার বন্ধুরা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায়, নয়ন কাওকে ফ্রিতে মাদক খাওয়াবে না বললে। সজিব উত্তেজিত হয়ে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে। নয়ন বাঁচার জন্য দৌড় দেয়। পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য রবিন, মনির রিয়াজ সহ আরো তিনজন এলোপাথাড়ি ভাবে নয়নের বুকে, গলায় ও শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে আঘাত করতে থাকে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একপর্যায়ে শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে নয়নের মৃত্যু হয়।
ওই দিনই নিহতের ভাই কালু মাতবর (৪০) বাদী হয় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করে।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জে সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর, মডেল থানা অফিসার্স ইনচার্জ মামুনুর রশিদ, মামলার তদন্তকারী অফিসার খালেদুর রহমান।