Tuesday, September 16, 2025
spot_img

নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।

Homeবাংলাদেশঅনাবৃষ্টি প্রচন্ড তাপদাহের কারণে পানি না থাকায় গাইবান্ধায় পার্ট পচাঁনো নিয়ে বিপাকে...

অনাবৃষ্টি প্রচন্ড তাপদাহের কারণে পানি না থাকায় গাইবান্ধায় পার্ট পচাঁনো নিয়ে বিপাকে চাষিরা

আঃ জলিল মন্ডল(ক্রাইম)রিপোটার গাইবান্ধাঃ

অনাবৃষ্টি, খরা, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ও অন্যান্ন উপজেলার  নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা এবং নিচু জলাশয় সমুহ শুকে গেছে। সে কারনে তোষা পাট পচাঁনো নিয়ে বিপাকে পরেছেন পাট চাষিরা। বৃষ্টির আশায় পাট কেটে জমিতে স’র করে রাখছে দিনের পর দিন। কিন’ বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জমিতে স’র করে রাখা পাট শুকে যাচ্ছে পচাঁনোর ব্যবস্তা করতে পারছে না চাষিরা। অনেকে নিচু জলাশয়ে সেচ মটর দিয়ে পানি ভর্তি করে পাট পচাঁনোর ব্যবস্তা করলেও দু’তিন দিনের মধ্যেই সেই পানিও শুকে যাচ্ছে। সবমিলে পাট চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। চাষিদের স্বপ্ন সোনালী আঁশ যেন গলার ফাঁস হয়ে দাড়িছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৪ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে তোষাপাট চাষাবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে পাট কাটা শুরু হয়েছে। পাট পচাঁনোর জন্য ১০ হতে ১২দিন সময় লাগে। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ হতে ৯ মন পাট উৎপাদন হয়। বর্তমান বাজারে প্রতিমন পাট বিক্রি হচ্ছে গ্রেড অনুযায়ী আড়াই হাজার হতে তিন হাজার টাকা। তোষাপাটের চাষাবাদ চরাঞ্চলে বেশি। 

বেলকা গ্রামের পাট চাষি তারা মিয়া জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করে ছিলেন। গত ১০দিন হল পাট কেটে জমিতে স’ব করে রেখেছেন, পানি না থাকার কারনে পচাঁনোর জন্য জাগ দিতে পারছে না। ইতিমধ্যে জমিতে তার পাট শুকে গেছে। স্হানীয় জলাশয়ে সেচ মটার দিয়ে পানি ভর্তি করে পচাঁনোর ব্যবস্থা করা হলেও পানি দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে করে উৎপাদন খরচের পরিমান বেড়ে যাচ্ছে, তারপরও পাটের রং নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন পাটের রং ভাল না হলে দাম ভাল হবে না। এমনকি খরচ উঠবে না। 

হরিপুর ডাঙ্গার চরের মফিজল হক জানান, তিস্তা শাখা নদীতে তার দুই বিঘা জমির পাটের জাগ পানির অভাবে শুকনা জায়গায় পড়ে রয়েছে। শাখা নদীতে পানি দেয়ার মত কোন ব্যবস্থা নেই। মহাবিপাকে পরেছেন তিনি। 

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, অবৃষ্টির কারণে নিচু জলাশয় সমুহ শুকে গেছে।ক্ষনিকের জন্য একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকে সেচ মটারের মাধ্যমে নিচু জলাশয়ে পানি দিয়ে এবং  ব্যক্তিগত পুকুরে পাট পচাঁনোর ব্যবস্থা করছেন। চলতি মৌসুমে পাটের ভাল ফলন হয়েছে। পাট চাষিরা এখন অনেক লাভবান। কারণ পাটের আশেঁর পাশাপাশি পাটকাঁটির দামও অনেক ভাল।গত দু”দিন ধরে ছিটে ফোটা বৃষ্টি হলেও পানি জমাট না হওয়ায় আরো হতাসায় পরেছে পার্ট চাষিরা।

M A Jolil Mondol
M A Jolil Mondol
গায়বান্ধা জেলা ক্রাইম রিপোর্টার | +880 1934-668292
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments