Tuesday, September 16, 2025
spot_img

নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।

Homeবিশেষ সংবাদযমুনায় পানি বিপদসীমা ছুইছুই চৌহালী ওশাহজাদপুর উপজেলায় পানিতে আরও ১৫ বাড়িঘর ডুবি।

যমুনায় পানি বিপদসীমা ছুইছুই চৌহালী ওশাহজাদপুর উপজেলায় পানিতে আরও ১৫ বাড়িঘর ডুবি।

ইয়াহিয়া খান চৌহালী উপজেলা প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার
এলাকার অনেক বাড়িঘর বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ায় মানুষজন পানিবন্দি
হয়ে পড়েছে।
সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার হাসান মামুন
জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে ১২
সেন্টিমিটার বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে
ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে
বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, যমুনা নদী বেষ্টিত চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু জমির
তিল,কাউন বাদাম, আখ ও সবজি ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ফলে এসব
এলাকার কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে এনায়েতপুর থানায় খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দির আরও
অন্তত ১৫ বাড়িঘর বন্যার পানিতে ডুরে গেছে। এসব বাড়িঘরের মানুষ চৌকি উচু
করে কমলমতি শিশুদের নিয়ে অতিকষ্টে বসবাস করছে। এছাড়া উপজেলার ১৩টি
ইউনিয়নের অধিকাংশ নিচু গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। নিচু রাস্তাঘাট
বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ভাঙ্গণ আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের অসহায় মানুষ।
এদিকে বন্যা ও বৃষ্টিতে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে কাঁচা সবজি,
মাছ ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম
বিপাকে পড়েছে।
এ বিষয়ে খুকনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁন জানান,বন্যা মৌসুম শুরু
হওয়ার পর থেকে তার ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দি গ্রামে ব্যাপক
ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। গত ২ মাসে অন্তত ২ শতাধিক বাড়িঘর যমুনায় বিলিন হয়ে
গেছে। অসহায় জীবন যাপন করছে এসব ভাঙ্গণ কবলিত মানুষ। এছাড়া আরও অন্তত ১৫
বাড়িঘর বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় এসব বাড়িঘরের মানুষ অতিকষ্টে রয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম জানান,
যমুনার ভাঙ্গণ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে জেলায় বরাদ্দর জন্য
পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্র তা বিতরণ করা হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার
সরকার জানান, পাহাড়ি ঢল ও উজানের ভারী বর্ষণে গত ৪ দিন ধরে যমুনার পানি
বাড়ছে। আগামী ২/৩ দিন আরও পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে এই মুহূর্তে ভারী বন্যার আশঙ্কা নেই।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments