বগুড়ার শাজাহানপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে শাহ জালাল তালুকদার পারভেজ (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা কে নৃশংসভাবে কুঁপিয়ে হত্যা করেছে খরনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীনের সাগরেদ সন্ত্রাসি সাগর তালুকদার ওরফে টোকাই সাগর বাহিনী।
শনিবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের মাথাইলচাপর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পারভেজ উপজেলার সাবরুল গ্রামের মনসুর তালুকদারের ছেলে। তিনি সাবেক যুবলীগ নেতা ও আশেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। পেশাগত ভাবে তিনি বগুড়ার কৈচর টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, পারভেজ মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে বগুড়া শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাথাইল চাপড় এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় পূর্ব থেকেই অবস্থান করা টোকাই সাগর বাহিনীর কয়েকজন সন্ত্রাসি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় জীবন বাঁচাতে মোটরসাইকেল ফেলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে পারভেজ। হামলাকারীরা তাকে ধাওয়া করে নৃশংসভাবে কুঁপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। এসময় তার ডান হাত শরীরের কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, “পারিবারিক দ্বন্দের জেরে পারভেজ খুন হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকারীরা একই গ্রামের বাসিন্দা। তাদেরকে ধরতে অভিযান চলছে।”
আশেকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী জানান,
“নিহত পারভেজ তালুকদারকে বড়ভাই নুরুজ্জামান তালুকদার কে ছুরিকাঘাতের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে বর্তমানে কারাগারে থাকা সাগর জেলে বসে বিভিন্ন জনকে ফোন করে হত্যার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এমনকি আমাকে খুন করার জন্যও ত্রিশ লক্ষ টাকায় সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসি টোকাই সাগরের সরাসরি নির্দেশে এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।”
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই “প্রকাশ্য দিবালোকে টোকাই সাগরের ব্যবসায়িকে ছুরিকাঘাত” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ওইদিন টোকাই সাগরের ছুরিকাঘাতে আহত ব্যবসায়ি নুরুজ্জামান তালুকদার ছিলেন আজকে খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা পারভেজ তালুকদারের বড়ভাই।
নুরুজ্জামান তালুকদারের ঘটনায় জেল থাকা সন্ত্রাসী টোকাই সাগরের প্রত্যক্ষ নির্দেশে আজ পারভেজ তালুকদার খুনের ঘটনা ঘটলো।
মাইনুল ইসলাম সরকার
প্রতিনিধি শাজাহানপুর বগুড়া।