আঃ জলিল মন্ডল(ক্রাইম)রিপোটার গাইবান্ধাঃ
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার,ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে লক্ষ্য রেখে সরকারি দলের বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতিসমূহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধারাবাহিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখা এই কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচীতে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখা ও ছাত্র ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা পৃথক পৃথক ব্যানারে একটি র্যালি বের হয়ে কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা সভাপতি রনজিত বকসী সূর্য্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল সাহার সভাপতিত্বে গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মাজহার-উল মান্নান, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ পরেশ চন্দ্র সরকার, ওয়াকপলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, গনফোরাম জেলা সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাজা, কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সভাপতি অ্যাড: শাহাদাত হোসেন লাকু, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাংগীর কবীর মিলন, সাবেক প্যানেল মেয়র মোস্তাক আহমেদ রনজু, সাবেক কাউন্সিলর জিএম চৌধুরী মিঠু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুজন প্রসাদ, যুব ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা সভাপতি সুমন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দাস অভি, যুব ঐক্য পরিষদ যুব বিষয়ক সম্পাদক পলাশ চাকী, ছাত্র ঐক্য পরিষদ জেলা সভাপতি সৌমিত্র বক্সী প্রমুখ।বক্তারা, প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারি দলের উপর সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্ৰণয়ন, দেবত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন,অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, ৬. পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনের দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন, ২০১৮ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল তাদের দাবিসমূহ পুরন করবেন। মনে করেছিলেন দাবি বাস্তবায়ন হবে। দাবি পার্লামেন্টে উঠবে। যখন দেখলেন তাদের দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সকল সনাতনীদের একত্র করে আলোচনা করে তাদের দাবি বাস্তবায়ন করে মাঠে নেমেছেন। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ভোট বর্জনসহ বৃহত্তম কর্মসূচী গ্রহন করবেন।
তারা আরো বলেন- ২০১৮ সালে সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলেন আপনারা আমাকে ভোট দিলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যেতে পারলে আপনাদের ৭ দফা দাবি আমরা অবশ্যই মেনে নিব। এখন পর্যন্ত সরকার আমাদের আন্দোলনে সারা দেননি, ৭ দফা দাবি মেনে নেয়নি। ৭ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।