বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে বিদ্যালয়ের নিয়োগে আত্বীয়করণের অভিযোগ এবং অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলার কারনে দক্ষিণ চান্দখানা নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগেও একই ঘটনায় ওই ৪টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ হয়েছিল।মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার দক্ষিণ চান্দখানা নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪টি পদে অফিস সহকারি, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় ক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। এজন্য যথা সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ডিজি প্রতিনিধি। নিয়োগ পরীক্ষার নেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের রুমের তালা খুলতে যায় প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক প্রামানিক। এসময় স্থানীয় কয়েকজন প্রধান শিক্ষককে রুমের তালা খুলতে বাধা দেন এতে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দু’দলের লোকজন মারমুখী হয়ে উঠে। নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার পরিবেশ না থাকায় দ্বিতীয় বারের মতো পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকেরিনা বেগম। কান্না জড়িত কন্ঠে রত্না আক্তার নামে এক আবেদনকারী পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন (ঢোল মেম্বার) তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এখন তাকে নিয়োগ না দিয়ে সভাপতির মেয়ে ও নাতিকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন। এখন তিনি তার দেয়া টাকা ফেরত দিতে চায়। যা তার জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে জানান।এসময় বিদ্যালয় মাঠে ‘জয় বাংলার দেশে, দূর্নীতিবাজদের ঠাঁই নেই’ শ্লোগান দিতে থাকে একদল যুবক।প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক প্রামানিক জানান, ইউপি সদস্যা জেবুননেছার বিএনপির সমর্থক। তিনি নিয়োগ পরীক্ষা বানচাল করার জন্য নানান ষড়যন্ত্র করছে। বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলার কারনে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন (ঢোল মেম্বার) জানান, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরীক্ষায় যে উত্তীর্ণ হবে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। তার মেয়ে ও নাতীকে নিয়োগ দেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম বলেন, সেখানে বিশৃঙ্খলার কারনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার পরিবেশ নেই। তাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে অফিসে ডেকে তাদের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।দক্ষিণ চান্দখানা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারি, পরিচ্ছন্ন কর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে ৪১জন চাকুরী প্রত্যাশী আবেদন করেন। তাদের মধ্যে ৪পদে ৪জনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বিশৃঙ্খলার কারনে স্থগিত করা হলো। এর আগে পরীক্ষায় অনিয়ম, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়দের চাকুরী দেওয়া হতে পারে এবং নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে সোমবার(১৮ডিসেম্বর) স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।