Tuesday, September 16, 2025
spot_img

নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।

Homeবাংলাদেশকেরানীগঞ্জে ভাই-ভাবির দেয়া আগুনে ছোট ভাইয়ের হাসপাতলে মৃত্যু

কেরানীগঞ্জে ভাই-ভাবির দেয়া আগুনে ছোট ভাইয়ের হাসপাতলে মৃত্যু

মোহাম্মদ সাইদ: ঢাকা কেরানীগঞ্জের আলীনগর এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই ও ভাবির দেয়া আগুনে দগ্ধ ছোট ভাই জিমি আলী (৩০) অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। থানায় মামলা হলেও ঘটনার পর থেকে আসামীরা পালাতক রয়েছে । জিমি আলী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আলিনগর এলাকার মৃত তাহের আলীর সন্তান।

আজ শুক্রবার(১৪অক্টোবর) সকালে দগ্ধ ছোট ভাই জিমি আলী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান বলে জানিয়েছেন জিমির মা ডলি বেগম।

এই ঘটনায় জিমি আলীর স্ত্রী পপি বেগম বাদী হয়ে বড় ভাই জনি ও তার স্ত্রী লিজাকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন গত ১১ই অক্টোবর। কিন্তু অদ্যবধি থানা পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জনি ও জিমি দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছিল। গত ১০ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে খাবার শেষ করে জিমি ও তার স্ত্রী পপি ঘুমিয়ে যান। রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে জানালার পর্দায় আগুন জ্বলতে দেখে দ্রুত ঘুম থেকে উঠে তা নিভানোর চেষ্টা করেন তারা। এ সময় আগুন আগুন বলে চিৎকার করলে পাশের বাসায় আগে থেকেই লুকিয়ে থাকা জনি ও তার স্ত্রী লিজা আগুন লাগানো অবস্থায় একটি মোটা কাপড় জিমির শরীরের দিকে ছুড়ে মারেন। এতে জিমি মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় জিমিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়।
জিমির স্ত্রী বলেন, তার স্বামীকে পরিকল্পীত ভাবে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে ওর বড় ভাই জনি ও তার স্ত্রী। তার সাথে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানান তিনি।

ভাড়াটিয়া রুনিয়া বেগম জানান, মধ্যরাতে আগুনের চিৎকারের শব্দ শুনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পরিবারে সবাইকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভাড়াটিয়া আশিক বলেন, আগুনের পরিমাণ বাড়তে থাকায় ঘরের দরজা ও থাইগ্লাস ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ীর মালিক জিমি ভাইসহ তার দুই বাচ্চা ও তার স্ত্রীকে আগুন থেকে বাঁচাতে গিয়ে আমি নিজেও পুড়ে গেছি।
জিমির মা ডলি বেগম বলেন, সম্পত্তির জন্য আগুন লাগিয়ে দিয়েছে জনি ও তার স্ত্রীর সাথে থাকা লোকেরা। তাদের আইনের আওতায় আনা দাবী জানান তিনি।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ জামান বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই, আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments