

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আব্দুল গফফার (৬৫) নামে এক লিচু ব্যবসায়ীকে হত্যার মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা লিচু আত্মসাৎ করতে দুজন লিচু ব্যবসায়ীকে ট্রাক থেকে ফেলে দেন। এতে আব্দুল গফফার মারা যান৷ শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল র্যাব-১২ এর সদরদপ্তরে অধিনায়ক মারুফ হোসেনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নিহত লিচু ব্যবসায়ী আব্দুল গফফার নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।গ্রেফতাররা হলেন–নাটোর জেলার দিয়া সাতুরিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (২৮), গাজীপুর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিজুল হক (৪৮), কাঠাল বাড়িয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক (৪৫), বড় বাড়িয়া গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান (৪৩), ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার বিটিবাড়ী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (৩৪) ও টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার কুটিবাড়ী চাঁনপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে সুজন মিয়া (২৯) এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধিনায়ক বলেন, হেলাল শেখ (৩৬) একজন লিচু ব্যবসায়ী। গত ৩ জুন তিনি পাবনার দাশুড়িয়া এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে লিচু কিনে গফফারকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাকযোগে সিরাজগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। ট্রাকে তারা দুজন ছাড়াও আরও ৬-৭ জন ছিলেন। তারা নিজেদের গরু ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাটোর জেলার কাঁচিকাটা টোলপ্লাজা পার হওয়ার পর ওই ৬-৭ জন লিচু আত্মসাতের উদ্দেশে হেলাল ও গফফারের হাত-পা ও চোখ বেঁধে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় তাদের ট্রাক থেকে ফেলে দেয়। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গফফারকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরের দিন হেলাল শেখ বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে।