ডেক্সাসন নিউজ
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স চার মাস পর আবারও খোলা হয়েছে। এরপর গণনা করে রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গেছে।
এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও সেখানে পাওয়া গেছে।গত শনিবার (০৬ মে) দিনগত রাত ৯টার পর গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী এম-টিভিখবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে এদিন সকালে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়।
দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে ১৯টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ।সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার চার মাস পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে।
সেখানে টাকা গণনা কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) কাজী মহুয়া মমতাজসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. রফিকুল ইসলামসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পাশাপাশি মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গণনার কাজে অংশ নেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ মিয়া টাকা গণনার কাজ পর্যবেক্ষণ করেন।
এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের (২০২৩) ৭ জানুয়ারি মসজিদের দান সিন্দুকগুলো খুলে গণনা করে ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক সেখানে ছিল।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস যে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।