এসএম রুবেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে সনাতন ধর্মালম্বীদের গঙ্গাস্নান ও দশহারা মেলা উৎসব পালিত হয়েছে।
কানসাটের গুজরঘাটে পাগলা নদীর ধারে এ উৎসব মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
কানসাট গঙ্গাশ্রম ঘাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের জাহ্নমণির দশহরা গঙ্গাস্নান দিনব্যাপী উৎসবে বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ এই পুণ্যস্নানে অংশ নেয়। বিশেষ করে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ বগুড়া, দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ হিন্দু সম্প্রদয়ের সকল বয়সের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও নদী তীরে প্রার্থনা, গীতাপাঠ এবং কীর্ত্তনসহ ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। কানসাটের এই গঙ্গাঘাটটি দেশের সকল হিন্দু সম্প্রদায়দের একটি পবিত্র তীর্থভূমি হিসেবে বিবেচনা করে এই তীর্থ ভূমিকে জানা-বোঝা এবং এর অতীত ইতিহাস অন্বেষণ করা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের কর্তব্য বলে মনে করেন। আর তাই প্রতি বছর গঙ্গা দশহরা তিথী অনুযায়ী জ্যৈষ্ঠ বা আষাঢ় মাসে সর্ববৃহত্তম গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
এখানে গত সোমবার থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা হতে আসতে শুরু করে ধর্মপ্রাল সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মঙ্গলবার কানসাটের পাগলা নদীর তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বী এসে একত্রিত হয় এবং গঙ্গাদেবীর কাছে প্রার্থণা করে। তারা এখানে এসে অস্থি-বিসর্জন দেয়।
এদিকে এ উৎসবকে ঘিরে কানসাট রাজবাড়ি মাঠে বসে গ্রামীণ মেলা। মেলায় প্রসাধনী, কাঠের আসবাবপত্র, হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন উপকরণ, খাবার দোকান, পূজোর আয়োজন এবং কীর্ত্তনের জমজমাট আসর। গঙ্গাস্নানকে ঘিরে গোটা কানসাট এলাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের মিলনমেলায় পরিণত হয়। পদ্মার শাখা নদী পাগলায় স্নান ও পূজা অর্চনা শেষে তারা অংশ নেয় ধর্মসভায়।পাশাপাশি নদী, মেলা ও এর আশেপাশের এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারী ছিল চোখে পড়ার মত।
এ ব্যাপারে স্নান কমিটির সভাপতি শ্রী সুবোধ দত্ত জানান, কানসাট পাগলা নদীর তীরে ও নদীতে স্নান করে নিজের জীবনে জমে থাকা পাপকে বিসর্জন করে হিন্দুরা। পূর্ব পুরুষের আমল হতে এখানে এ স্নানমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আমরা তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে চায় এবং ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা ভক্তি সহকারে পূজা অর্চনা পালন করছে। সকল ধর্মপ্রাণ হিন্দু সম্প্রাদায় নেতাদের অবশ্যই উচিৎ হবে এই তীর্থটিকে আরও সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা।