কৃষি বিজ্ঞানীরা বলেন,পুষ্টির দিক দিয়ে সজিনাকে পুষ্টি ডিনামাইড বলা হয়। সজিনা গাছ থেকে পুষ্টিমান ও ঔষধি গুণ সারা বছর পাওয়া যায়।সজিনা একটি অতি পরিচিতি দামি এবং সুস্বাদু সবজি।সজিনার উৎপত্তিস্থল পাক ভারত উপমহাদেশ হলেও পৃথিবীর সকল দেশেই এ উদ্ভিদ জন্মে।তবে শীত প্রধান দেশগুলোতে এই সবজির গাছ জন্মায় না। বাংলাদেশে দুই থেকে তিন প্রকার সজিনা পাওয়া যায়।বসত বাড়ির আঙিনায়,পুকুর পাড়ে এটি আদর্শ সবজি গাছ যা সময়মতো গাছ ভর্তি ধপ ধপে সেতশুভ্র সাদা ফুল ও কচি পড দেখা দেয়।এতে করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য বেশ মানান দেয়। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা সজিনা গাছকে অত্যশ্চর্য বৃক্ষ বলে মনে করেন।সজিনা পাতায় ৮ প্রকার অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড সহ ৩৮% আমিষ আছে যা বহু উদ্ভিদের নাই।সজিনা পাতার পুষ্টিগুণে আঁধার বলে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেন,সজিনা পাতায় ৪২%আমিষ ১২৫%ক্যালসিয়াম ৬১%ম্যাগনোসিয়াম ৪১%পটাসিয়াম ৭১%লৌহ ২৭২%ভিটামিন এ এবং ২২% ভিটামিন সি সহ দেহের বহু পুষ্টিমান ঔষধি গুনে ভরপুর।আর তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মানুষকে সারা বছর সজিনা সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে সজিনা গাছ থেকে ৩০০প্রকার রোগ থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেয়।সজিনা গাছের বাকল,শিকড়,ফুল- ফল ও পাতাসহ বীজ এমনকি সজিনা গাছের আঠাতেও ঔষধি গুনাগুন ভরপুর। সজিনা বসতবাড়ির চারপাশে শোভা বর্ধনসহ পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে সজিনা বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে আর্থিকভাবে প্রচুর লাভবান হচ্ছে কৃষক।
Very nice post