মোহাম্মদ সাইদ: ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে ৯৮ ভরি স্বর্ণ লুটের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম মুন্সি কামরুজ্জামান লিখন। তিনি ডিএমপির লালবাগ থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
১২.০৯.২০২২ অদ্য তারিখ পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে প্রেস ব্রিফিং জানা যায় লুন্ঠিত ৯৮ ভরি স্বর্ণের মধ্যে ৫১ ভরি ৬ রতি স্বর্ণ, স্বর্ণ বিক্রির ১৫ লাখ টাকা, ডাকাতদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্বর্ণ লুটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই অলক কুমার দে জানান, শনিবার ঊর্ধতন কর্মকর্তারা তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে এক ব্যবসায়ী ৯৮ ভরি স্বর্ণ নিয়ে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে রাজধানীর তাঁতীবাজারে যান। তাকে অনুসরণ করে আরেক ব্যক্তি সেখানে যান। তিনি মূলত ইনফরমার ছিলেন। শুক্রবার তাঁতীবাজার বন্ধ থাকায় ওই ব্যবসায়ী স্বর্ণ বিক্রি করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছিলেন। পথে কেরানীগঞ্জের সাজেদা হাসপাতালের সামনে আগে থেকে পেতে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে দিয়ে তাকে আটক করে গাড়িতে তোলে। পরে তার সঙ্গে থাকা ৯৮ ভরি স্বর্ণ লুটে করে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পের নির্জন স্থানে নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি মামলা করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে কামরুজ্জামানের সম্পৃক্ততা পায়।
পুলিশের এহেন চৌকশ পারদর্শিতা প্রশংসা জানিয়ে কেরানীগঞ্জের গুনিজনরা ধন্যবাদ ও অভিনন্দন,জানিয়ে সকল অফিসার, পুলিশ সুপার, সাকেল এসপি, অফিসার ইনচার্জ, তদন্তকারী অফিসার, তদন্ত কারী টিমের প্রতিটি সদস্য তথা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সকল অফিসার কে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ফসলে এই মামলায় রহস্য উদঘাটিত ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার সম্ভব হয়েছে, আপনাদের এই অগ্রযাত্রা আমাদেরকেও সামনের ধাবিত করার অনুপ্রেরণা যোগাবে।