শামীম শাহরিয়ার, চারঘাট, রাজশাহী: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় অদৃশ্য শক্তির বলে অবৈধ পুকুর খনন চলমান রয়েছে। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহীনির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ পুকুর খনন করছে। ওই সময় স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন রূপ প্রকাশ পাচ্ছে।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে দলীয় প্রভাব অথবা প্রশাসনের সহযোগিতায় অবৈধ পুকুর খননের স্থির চিত্র তার প্রমান বহন করছে। চারঘাট রিপোর্টাস ইউনিটির কিছু সদস্য শনিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ পুকুর খননের তথ্য সংগ্রহ করেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কিছু পুকুর ৪০ শতাংশ কিছু ৮০ শতাংশ এবং সদ্য কিছু অবৈধ পুকুর খনন চলছে। সম্প্রতী উপজেলার চারঘাট ইউনিয়নের ফরিদপুরের কায়ীপাড়া গ্রামের তিন ফসলি ১০ বিঘা জমিতে পুকুর খননের দৃশ্য সাংবাদিকদের ক্যামেরায় স্থির চিত্র এবং তথ্যাদি প্রমান সংগ্রহ হয়েছে। এই পুকুর খননের ফলে স্থানীয় অনেক কৃষকের জমিতে চাষাবাদের সমস্যা হবে। সরকারী সড়কের স্থায়ীত্ব নষ্টসহ জনভোগান্তী হবে জানান স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
জানাযায়, ওই জমির মালিক মৃত মাহমুদের সরকারের ছেলে মামুন ও বাবু। অবৈধ পুকুর খননের জন্য অসাধু পুকুর ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন এবং হায়দার আলী উভয় মিলে পুকুর খননের জন্য জমিটি লিজ নিয়েছে। তবে তারা দিনের আলোয় পুকুর খনন করছে না। রাতের আধাঁরে পুকুর খননের কাজ চলামান রেখেছে। এবিষয়ে আনোয়ার গনমাধ্যকে জানায়, সে শুধু সহযোগিতা করছে। কিন্ত হায়দার পুকুর খননের বিষয়ে কোনভাবে জড়িত নেই বলে দাবি করেছে।
তথ্যমতে পুকুর খনন এবং মৎস্য চাষ হচ্ছে কৃষি। কিন্ত তিন ফসলি জমি বা আবাদি জমি নষ্ট করে মৎস্য চাষ করার কোন নিয়ম নীতি নেই। কদাচিৎ পুকুর খননের প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসন কৃষি দপ্তর কে সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অবগত করেন। কৃষি দপ্তর তা পর্যবেক্ষন করে পুকুর খননের উপযুক্ত বা অনুপযুক্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন । যার ফলশ্রুতিতে পুকুর খননের অনুমোদন দেয়া ও না দেয়া উপজেলা প্রশাসনের। এই তথ্য চারঘাট রিপোটার্স ইউনিটিকে দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লৎফুন নাহার।
উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পুকুর খননের খবর প্রাপ্তি হলে তৎক্ষনাত ঘটনাস্থল থেকে সকল প্রকার সরঞ্জামন জব্দ করা হয়। অনেক সময় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করা হয়। ইতোমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ পুকুর খনন সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তদুপরি নতুন পুকুর খননের সংবাদ পেলে উপজেলা প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন।