ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের মাঝে আস্থার জায়গা তৈরি করছে। তিনি বলেন, আমরা একসময় ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রয়োজন অনুভব করিনি। এখন আমরা বুঝতে পারছি ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি আজ সোমবার সকালে রাজধানীতে ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে “কমবেটিং ফিউচার চ্যালেঞ্জস ইন ট্যুরিজম সিকিউরিটি : বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ পারস্পেকটিভ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক সিইও জাবেদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা’র জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিনি নায়ার (Ashwani Nayar), বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির সদস্য মনোয়ারা হাকিম আলী এবং টোয়াব প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির সদস্য শিবলুল আজম কোরাশী প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক।
আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠনের পর শিল্পখাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে একটি শিল্পানুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তেমনিভাবে ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠনের ফলে পর্যটন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
তিনি বলেন, দেশে স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করায় বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মানুষের আয় বাড়ছে। আমাদের পর্যটন খাতও বিকশিত হচ্ছে।
পুলিশ প্রধান বলেন, প্রযুক্তির বিকাশের ফলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ পুলিশ সংকল্পবদ্ধ।
মূল প্রবন্ধকার বলেন, পর্যটন একটি বিকাশমান খাত। এ খাতের ৯৫ ভাগ অভ্যন্তরীণ পর্যটক এবং ৫ ভাগ বিদেশি পর্যটক। পর্যটন খাতকে শক্তিশালী করতে হলে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে হবে। পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা প্রদান এবং পর্যটকদের।