নওগাঁয় সন্ত্রাসী বাহীনি দ্বারা অতর্কিত হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ব্যাপক ঘটনা
নওগাঁ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় সন্ত্রাসী কায়দায় বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। জেলার সদর উপজেলার কীর্তিপুর/কলিপাড়ার বাসিন্দা মোছাঃ সেতু বেগম, তিনি ওই এলাকার শহীদ ইসলামের স্ত্রী। মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (৩৮) পিতাঃ সিরাজুল ইসলাম ২, মোঃ সবুজ(৩৫) পিতাঃ মোঃ সাইদুল ইসলাম ৩. মোঃ মাবুদ(২৭) পিতাঃ মৃত সোলাইমান ৪. মোঃ আরিফ(২৩) পিতাঃ মৃত জাইদুল ৫. মোঃ এনামুল(৫০) পিতাঃ অজ্ঞাত ৬. মোঃ জিতু পিতাঃ মোঃ চিমনা ৭.ঘোড়া বাচ্চু(৬৫) পিতাঃ অজ্ঞাত ৮. মোঃ দোলন(৫০) পিতা অজ্ঞাত সর্ব সাং শালুকান, পোষ্ট কির্তীপুর থানা ও জেলা নওগাঁ সহ অজ্ঞাত আরো ৫০ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। নওগাঁ সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত ওই অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন গত ২৮/০৮/২৪ ইং তারিখ আনুমানিক দুপুর ২ ঘটিকায় তাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের(কাঠ ফার্নিচার) প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল, দুটি মেশিন এবং দোকানঘর ১ নং বিবাদীর হুকুমে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া নির্মানাধীন একটি ভবনে উল্লেখিত বিবাদীগনরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এতে তাদের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ইতিপূর্বে উল্লেখিত সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা তাদের দোকান ঘরের কর্মচারী মোঃ জামিল হোসেনকে বেধড়ক মারধর করেন। এব্যবাপারে থানায় আলাদা একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। এছাড়াও তাদের নির্মানাধীন ভবন থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল তারা লুটপাট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা এমন দাবীসহ পরিবারের সকলে উল্লেখিত সন্ত্রাসী বাহীনির ভয়ে প্রাণের সংশয়ে দিন কাটাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। যেকোনো সময় আমাদের উপর তারা হত্যাযজ্ঞের মত কর্মাকান্ড চালাতে পারেও বলে ভীতি প্রকাশ করেন তিনি।
এব্যপারে সেতু বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্থানীয় সাজ্জাদ, মাবুদ,সবুজ সহ কিছু বখাটে নানানরকম ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের কাছে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন,আমরা তাতে রাজি না হওয়ায় আমাদের বসতবাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমাদের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ১ লক্ষ ৮৪ টাকা স্বর্নের গহনা সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করেন। আমার স্বামী এবং আমাদের ফাঁসানোর জন্য বেশকিছু মাদকদ্রব্য তারা সংগ্রহ করে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে প্রশাসনকে খবর দেন। শহীদ হোসেন প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকবছর আগে শহীদ মাদক সেবনে আসক্ত ছিল তবে মাদক ব্যবসায়ী নয় এবং বর্তমানে মাদক সেবন থেকেও তিনি বিরত রয়েছেন বলে দাবী করেন তার স্ত্রী সেতু বেগম। এছাড়া বিগত ৪ বছর পূর্বে মাদকসেবন থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকবেন মর্মে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মুচকেলা দিয়েছেন এবং বর্তমানে (কাঠ ফার্নিচারের) ব্যবসা করছেন এছাড়া গত ৪ বছরে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা মকদ্দমা নেই বলেও জানান তিনি। সবশেষে উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান সেতু বেগম।
এবিষয়ে অভিযুক্ত কয়েকজন জানান, শহীদ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল সহ ডিবি পুলিশ তার বাড়ি থেকে কয়েকলক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার করেন। তাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন তারা।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শতাধিক জনতা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছে। লুটপাট এবং মারপিটের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কোন সঠিক জবাব কেউ দিতে পারেনি।