বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইয়ামুন নাহার!
এম ডি বাবুল সি:বি:প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই কড়া নাড়ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চা স্টল থেকে শুরু করে রাজনীতির অন্দর মহলে চলছে জোর আলোচনা। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজেদের প্রতি জনসমর্থন ও দলীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যানার, ফেস্টুন, পোষ্টার লাগানোর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে জনসংযোগ করে যাচ্ছেন!
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করে জনসমর্থন আদায়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক বেসরকারি পরিদর্শক, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক ছনুয়া ইউপি সদস্য, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, বাঁশখালী ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকা এর আজীবন সদস্য, চট্টগ্রাম প্রিপটারী স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক, ছনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইয়ামুন নাহার।
তিনি পারিবারিকভাবে জনসেবা ও অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। ইয়ামুন নাহার একজন স্বজ্জন ও পর উপকারী নিবেদিত একজন সমাজকর্মী। তৃণমূল থেকে বেড়ে উঠা ইয়ামুন নাহার নারী শিক্ষা , বাল্য বিবাহ , নারী ও শিশু নির্যাতন এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্তরে সচেতনতা মূলক প্রোগ্রাম করে বিভিন্ন সংগঠন থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন। নারী ক্ষমতায়ন, সুশাসন ও মানবাধিকার বিষয়ে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতে বিভিন্ন অনুষ্টানে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের বৃহৎ অংশের সমর্থন লাভের পাশাপাশি বিপুল জনসমর্থন রয়েছে বলে দাবি করেন সাবেক এই ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান! তিনি ছাত্রজীবন থেকে জনস্বার্থে- অসহায়, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঁশখালী উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে ইয়ামুন নাহার বলেন, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি ও পারিবারিকভাবে জনসেবার শিক্ষা পেয়েছি। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয় থেকে উপজেলা জুড়ে নানাভাবে কাজ করেছি এবং অদ্যবদি করে যাচ্ছি। একবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঁশখালীর মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন তাই আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ, আমি সবসময় বাঁশখালীর সর্বস্থরের জনগণের পাশে আছি ভবিষ্যতেও গণমানুষের পাশে থাকবো। আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠণে প্রবীণদের পরামর্শে ও যুব সমাজের সহযোগিতায় নিজ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামীদিনে বাঁশখালীকে স্মার্ট বাঁশখালী গঠণে অংশীদার হতে চাই এবং নারী নেতৃত্ব বিকাশ এর পথ স্বচ্ছ ও প্রসারিত করতে চাই। একজন ত্যাগী ও সৎ জনপ্রিতিনিধি হিসেবে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা পুনরায় মানবকল্যানে কাজে লাগাতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষণা করছি। নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচিত হয়ে বাঁশখালী উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো ইনশা-আল্লাহ।
বাঁশখালী উপজেলাবাসিকে পুনরায় সেবা করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন যাবৎ।