এস এম শামীম হাসান মহাদেবপুর প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বাগদানা গ্রামের কৃষক রশিদুল আলম বলেন, ‘দেড় বিঘা জমিতে ব্রিধান-৪৯ জাতের ধানের আবাদ করেছিলাম, যেখানে কমপক্ষে ৩০ মণ ফলন পাওয়ার আশা ছিল। কারেন্ট পোকা সেই জমির প্রায় অর্ধেক ধান সাফ করে ফেলেছে। প্রায় দেড় হাজার টাকার বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করেও শেষ রক্ষা করতে পারিনি। একদিকে বাজার নকল কীটনাশকে সয়লাব, অন্যদিকে সঠিক কৃষি পরামর্শও পাওয়া যায়নি। ফলে বিপুল ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়েছে।’ নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন , এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় জেলার প্রায় সব মাঠের ফসলই ভালো অবস্থায় আছে। তবে সব জমিতেই ইঁদুরের উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে। ইঁদুরের উপদ্রব, ব্লাস্ট রোগ ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার্থে চাষীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণসহ নিয়মিত কৃষি পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারো কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগ ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ আছে। আলোকফাঁদ ব্যবহার করে পোকার উপস্থিতি শনাক্ত করে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। চাষীরা আগের তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি সচেতন উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, কোথাও পোকার আক্রমণ ও ব্লাস্ট রোগ হলে তাত্ক্ষণিক কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে তা দমন করছেন। কীটনাশক কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করা হয়েছে। এর পরও যদি কোথাও ব্যাপক হারে পোকার আক্রমণ হয় বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। ফসল ঘরে তোলার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চাষীরা সচেতন থাকলে এ বছর কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই অর্জিত হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।
নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।
মহাদেবপুর উপজেলায় ফসলি জমির ধান ক্ষতির শঙ্কা
RELATED ARTICLES