মো: সোহরাওয়ার্দী হোসেন, ভাম্যমান প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার স্থল ইউনিয়নের কোচগ্রামের যমুনা নদীর চর থেকে
বৃহস্পতিবার সকালে বালুদস্যুরা বাংলাা ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু
উত্তোলন করে বিক্রির সময় শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের
ব্রাহ্মণগ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে মাইকিং করে শত শত লোক জড়ো করে তাদের
ধাওয়া করে আটক ব্রহ্মণগ্রামে এনে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে
এনায়েতপুর থানা ও চৌহালি নৌপুলিশ থানা ঘটনাস্থল থেকে দুই বাল্কহেড সহ দুই
বালুদস্যুকে গ্রেপ্তার করে চৌহালি নৌপুলিশ থানায় নিয়ে যায়। আটকরা হল,
টাঙ্গাইল জেলার ভূঁয়াপুর উপজেলার সিরাজকান্দি গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে
বেল্লাল হোসেন(২৬) ও একই উপজেলার সাড়িকাটা গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে আমান
আলী শেখ(৫৫)। এরপর আটক ২জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা
জরিমানা করে বাল্কহেড সহ ছেড়ে দেয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন
চৌহালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান।
এ বিষয়ে চৌহালি নৌপুলিশ থানার ইনচার্জ এসআই খারুক হসেন বলেন, চৌহালি
উপজেলার স্থল ইউনিয়নের কোচগ্রামের যমুনা নদীর চর থেকে বৃহস্পতিবার সকালে
বালুদস্যুরা বাংলাা ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির সময়
পাশের ব্রাহ্মণগ্রামের লোকজন তাদের ধাওয়া করে আটক করে ব্রাহ্মণগ্রামে
নিয়ে যায়। খবর পেয়ে চৌহালি নৌপুলিশ থানার একটি টিম আটক বালুদস্যু
বেল্লাল হোসেনও একই উপজেলার আমান আলী শেখ সহ বাল্কহেড দু‘টি চৌহালি আনার
পর ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত বিচারক চৌহালি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান তাদের প্রতিজনকে ৫০ হাজার টাকা
করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামের আবুল ব্যাপারী,এলাহী
ফকির,রেমানী নরকার,শাহজাহাস ব্যাপারী ও রূর মোহাম্মদ বলেন, বর্ষা মৌসুম
শুরু হওয়ার পর থেকে এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ
আলম,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফজলু ব্যাপারী, সদস্য জয়নাল সরকার, খুকনি
ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য হালিম সরকার,খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের ক্লিনার সুপারভাইজার হাসমত আলী অবৈধ ভাবে শাহজাদপুর উপজেলার
ব্রাহ্মণগ্রাম,আরকান্দি ও চৌহালি উপজেলার কোচগ্রামের যমুনা নদীর চর থেকে
বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালুকেটে বাল্কহেডের সাহায্যে বিক্রি করে কোটি কোটি
টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করায়
গ্রামবাসি অতিষ্ঠ্য হয়ে এদিন সকালে ২ বাল্কহেড সহ দুই বালুদস্যুকে আটক
করে। খবর পেয়ে চৌহালি নৌপুলিশ তাদের সামমাত্র জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছে।
এটা উচিত হয়নি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এই
বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত সকল নেতা-কর্মীকে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
দাবী করছি। তারা আরও জানান, বালুদস্যুরা চৌহালি উপজেলার স্থল ইউনিয়নের
কোচগ্রামের যমুনা নদীর চর থেকে বালু কাটলেও নৌপুলিশ বাল্কহেড ও দুই
বালুদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের
ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে। বালুদস্যুদের রক্ষার কৌশল হিসাবে কোচগ্রাম থেকে আটক
দেখিয়ে নৌপুলিশ ও প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুই কর্মচারিকে
জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছে। মূলবালুদস্যুদের রক্ষা করেছে। তারা এঘটনার
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফজলু
ব্যাপারী বলেন, এ বালু কাটার সাথে আমরা কেউ জড়িত নেই। এলাকাবাসি
ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমাদের নাম বলেছে। তাদের দেয়া তথ্য সত্য নয়।