মো: সোহরাওয়ার্দী হোসেন, ভাম্যমান প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
বেলকুচি বাসী সহ সমগ্র দেশ বাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়ে ছেন ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো: ইয়াদিন আহম্মেদ রমজান।
তিনি বলেন , ঈদুল আযহা ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের জন্য একটি ত্যাগের মহিমা। ঈদুল আযহা মুসলিমদের জন্য একটি খুসির দিন।
ঈদুল আযহার দিন সকল ধর্ম প্রাণ মুসলিম সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সবাই গোসল করে নতুন পোষাক পড়ে আনন্দের সহিদ ঈদগাঁও মাঠে উপস্থিত হয়ে নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে প্রত্যেক মুসলিম একে অপরকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানায়।
তারপর বাড়িতে গিয়ে ঈদের পশু কোরবানি দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে । কোরবানির শেষ করে কোরবানির গোস্ত সঠিকভাবে ভাগ করে এভাবেই ঈদ উদযাপন করে থাকে ।
ঈদ উল আযহা শব্দের অর্থ হলো ত্যাগের মহিমা। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) যখন তার প্রিয় পুত্রকে কুরবানী দেওয়ার জন্য আরাফাতের ময়দানে নিয়ে যান তখন শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার হুকুম মোতাবেক হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এই ত্যাগ করেন। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী সেদিন হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর পুত্র কুরবানী না হয়ে একটি পশু কুরবানী হয়েছিলো ।
তখন থেকেই কুরবানী প্রচলন শুরু হয় । তাই গতানুগতনিক পদ্ধতিতে এখনো পশু কুরবানী দিতে হয় বা দেওয়া প্রচলন চালু হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র পশু কুরবানী দেওয়াটাকেই কোরবানি বলে না। কুরবানীর অর্থ হলো আমাদের মনের ভেতর যে পশুত্ব আছে সেই পশুত্বকে কুরবানী দিতে হবে। তাহলে আমরা খুব সুন্দর একটি সমাজ ও দেশ গঠন করতে পারবো।
লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুকে পরাজিত করার বাণী নিয়ে আবারও এসেছে ঈদুল আযহার ঈদ। কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতায় আমাদের হৃদয়কে প্রসারিত করে।
কুরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।সবাই সাধ্যমতো সেরা পশু কুরবানি দেবেন ঈদে। সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক