মোঃমিজানুর রহমান নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তার চরে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টার ফলন বেশি হওয়াতে কৃষকরা ধান গমের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে মনোযোগ দিয়েছেন। মাঠে মাঠে ভুট্টার ফুলে বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তিস্তার চরে সবুজে ছেয়ে গেছে ভুট্টার মাঠ। ধানের চেয়ে কম খরচে হয় ভুট্টার চাষ। একদিকে খরচ কম, অন্যদিকে উৎপাদনে ধানের চেয়ে ভুট্টার ফলন প্রায় দ্বিগুণ। প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে কৃষকের খরচ আট থেকে নয় হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ মণ ভুট্টা ঘরে তোলেন কৃষক।কিসামত চরের ভুট্টাচাষি রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর ৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করে আসছি। ধানের চেয়ে খরচ কম, অথচ দ্বিগুণ ভুট্টা উৎপাদন করা যায়। এবারো অনেক আশা করে জমি প্রস্তুত করে ভুট্টা চাষ করেছি। আশা করছি, এবছর ভুট্টার ভালো ফলন হবে।’টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের চর খড়িবাড়ী গ্রামের আদর্শ কৃষক জিন্নত আলী বলেন, ‘জেগে ওঠা তিস্তার চরের জমিতে ৭ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পেলে আগামীতে আরও বেশি করে ভুট্টা লাগাবেন।’পূর্ব ছাতনাই গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এলাকার যেসব জমিতে পূর্বে বোরো চাষ করা হতো, সেসব জমিতে এখন অনেকেই ভুট্টা চাষ করছেন। বোরো চাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠে না। কিন্তু ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও তেমন বেশি থাকে। এ জন্য আমরা ভুট্টা চাষে এবার ঝুঁকছে কৃষকরা।’ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী জানান, ‘এবছর তিস্তার চরে ২ হাজার ৫শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। ভুট্টাচাষিরা উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ৯৮১, এমকে ৪০সহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। আমরা প্রতিনিয়ত মাঠে কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে আসছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করছি এবছর কৃষকরা ভুট্টার ভালো ফলন পাবেন।’